জাতীয় ডেস্ক :
উদ্বেগজনকহারে বেড়ে চলেছে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৮৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ হাজার ৯০৬ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশে। আর এখনও পর্যন্ত এ হার ১৩ দশমিক ৯১।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে নতুন করে এই ভাইরাসে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২২৩ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৮২ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জন।
এর আগে, শনিবার (২২ জানুয়ারি) করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছিলেন ৯ হাজার ৬১৪ জন।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতর সতর্ক করে বলেছেন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ক্রমেই ডেল্টার জায়গা দখল করছে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
ওমিক্রন আক্রান্তদের জটিলতা অপেক্ষাকৃত কম বলা হলেও ঝুঁকিতে বয়স্কসহ দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষজন। সময়ের সঙ্গে হাসপাতালে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এমন রোগী ভর্তির সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন বাড়ার পাশাপাশি ডেল্টা রয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে। আমরা দেখছি, ওমিক্রমন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গাগুলোকে দখল করে ফেলছে। ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন। ৭ শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন। গলা ব্যথা হচ্ছে ৭ শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এখন সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে কিন্তু মিল রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ২২ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি রয়েছে। সপ্তাহের শুরু ১৬ জানুয়ারি যেটা ছিল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আগ্রহী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ কোটি ৯৮ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ লাখ ১০ হাজার ১৩৬ জনে। আর সুস্থ হয়েছেন ২৭ কোটি ৮১ লাখ ৪২ হাজার ২৮৫ জন।