হোম খুলনাসাতক্ষীরা দেবহাটায় কিছু মানুষের অসাবধানতাই বাগদা সহ বিভিন্ন মাছের রোগ দেখা দিয়েছে

দেবহাটায় কিছু মানুষের অসাবধানতাই বাগদা সহ বিভিন্ন মাছের রোগ দেখা দিয়েছে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 43 ভিউজ
আব্দুল্লাহ আল মামুন:
সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ি চাষে দেবহাটা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মাছের রোগ সহ মারাত্মকভাবে মড়ক দেখা দিয়েছে। যা উদ্বেগজনক সামাজিক এবং দেশের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়বে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মৎস্য ঘেরগুলোতে চিংড়ি মাছ মরার ফলে চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। মৌসুমের শুরুতে হঠাৎ করে চিংড়ির এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে মৎস্য চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সেই সাথে তারা সমাধানের পথও খুজে পাচ্ছেনা। একদিকে বাগদা চিংড়ির মৃত্যুর ঘটনা,কিছুটা হলেও জানা গেল, নাজিরের ঘর সহ সূবর্নাবাদের খালের পাড়ে বসবাস রত বহু মানুষের বাথরুম ও গোয়াল ঘরের নোংড়া ও ময়লা পানি,খালের পানিতে মিশ্র হয়ে যাওয়ার কারণে এই রোগ দেখা দিচ্ছে বলে দাবি করছে চাষিরা, এতে করে বিভিন্ন ধরণের ব্যবহৃত ওষুধগুলোও সঠিক ভাবে কাজ করছেনা। ঘের গুলো বর্তমানে প্রায় পানি শূন্য ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
গনমাধ্যম কারি রফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নাজির ঘের এলাকায় পরিদর্শনে যাওয়ার পরে ঘের মালিক শাহাদাৎ হোসেন ও নূরুল আমিনসহ একাধিক মৎস্য ঘের মালিক জানান, বাগদা চিংড়ি ৬০ পিস কেজি সাইজে পৌঁছানোর সাথে সাথে হঠাৎ মারতে শুরু করেছে। অনেক চাষী সমিতির থেকে ঋণ নিয়ে মৎস্য ঘের শুরু করে ছিলেন। ইতোমধ্যে ঘের মালিকরা জমির হারি, রেনু পোনা ও খাবারের জন্য মোটা অংকের টাকা খরচ করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই পুঁজি ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা এখন নেই বললেই চলে। কেউ কেউ নতুন করে ঘের শুকিয়ে চাষের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন, তবে তাতে খরচ আর শ্রম দুটোই বাড়ছে। নাজিরঘের গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘেরের দুই কোটা মাছ ইতোমধ্যে মরে পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এতে করে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসার সাজ্জাদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৎস্য চাষীদের নিকট থেকে চিংড়ি মাছ মরার তথ্য বা কথা শুনেছি। আমি ঘেরগুলো সরেজমিনে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম। পোনা সংগ্রহ এবং পানি পরিবর্তনের সময় শোধন না করার কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। তাছাড়া ভাইরাসের জন্য কোনও এন্টিবায়োটিক ঔষধ নেই, এজন্য কোন ধরণের চিকিৎসা কার্যকর হচ্ছে না। এবং বাথরুমের ময়লা যুক্ত দুর্গন্ধ পানি মৎস্য ঘেরে আসে তাহলে এ রোগ দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা সুবর্ণবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সমস্ত অব্যবস্থাপনার কারণে মাছের রোগ সহ মড়ক দেখা দেয় যা শোভনীয় নয়।
মৎস্য চাষীরা আগ্রহী হলেও নতুন করে মৎস্য ঘের গুলি শুকিয়ে চাষের উপযোগি করতে পারেন। তবে এতে করে খরচ ও শ্রম উভয়ই বাড়বে। তবে অবশ্যই ঘেরে পানি ও মাটি পরীক্ষার করতে হবে। উপজেলা মৎস্য অফিসে নিয়ে আসলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন