মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
চাঁদাবাজির অভিযোগে মনিরামপুরের দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাজারুল ইসলাম গাজীসহ ৫ জনকে আসামি করে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার কেশবপুরের ডুয়াডাঙ্গা গ্রামের মুকুন্দ মন্ডলের ছেলে গোপাল চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে এ মামলা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো মণিরাপুরের দূর্বাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদ গাজী ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান মাজারুল ইসলাম গাজী, হরিনা গ্রামের নিতাই রায়ের ছেলে দীপক রায়, ঝিকরডাঙ্গা গ্রামেরমৃত পাগল চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রভাস চন্দ্র রায়, কমল কান্তি রায়ের ছেলে সুধাংশু রায় ও শ্যামনগর গ্রামের অধীর বিশ্বাসে ছেলে সুবোল বিশ্বাস।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গোপাল চন্দ্র মন্ডল ২০১৭ সালে দূর্বাডাঙ্গা মৌজার নড়েল বিলের ১শ’ বিঘা জমি ৫ বছর মেয়াদে লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। চেয়ারম্যান মাজারুল ইসলামের ইন্দনে নিউটন রায়, অলোক রায়সহ আসামিরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে ঘেরের মাছ লুট করবে বলে হুমকি দিতে থাকে আসামিরা। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে চাঁদার টাকা না পেয়ে আসামিরা ঘেরের অফিস ঘর পুড়িয়ে দেয়। পরদিন গোপাল চন্দ্র মন্ডল জুডিসিয়াল ও নির্বাহী আদালতে আলাদা মামলা করেন। একই সাথে তিনি চেয়ারম্যান মাজারুল ইসলামের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঘেরের জমির মালিকদের সাথে চুক্তি করে চলতি বছর থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করে নেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান মাজারুল ইসলাম ২৫ ফেব্রুয়ারি গোপাল চন্দ্রকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে বাকি টাকা ১ মাসের মধ্যে দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। অন্যথায় তাকে ঘেরের ব্যবসা করতে দিবে না বলে জানিয়ে দেয়।
গত ২৭ মার্চ যশোর থেকে তার বাড়িতে আত্মীয়স্বজন বেড়াতে যায়। তিনি তাদের সাথে দেখা করে দুপুর ২ টার দিকে ঘেরে গেলে আসামিরা ঘেরে যেয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে হত্যার হুমকি দেয়ায় অফিসে থাকা ১ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।