হোম জাতীয় দুদকের চার্জশিটে জাহালমের নাম নেই, আসামি সালেকসহ ২

জাতীয় ডেস্ক :

ঋণ জালিয়াতি মামলার আসামি না হয়েও কারাভোগ করা টাঙ্গাইলের জাহালমকে বাদ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। প্রতিবেদনে অর্থ আত্মসাতের ঘটনার মূলহোতা সালেকসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, মামলাগুলোর মূল আসামি সালেক। তবে সালেককে শনাক্ত না করতে পারায় জাহালমকে আসামি করা হয়েছিল। জাহালমকে জেলও খাটতে হয়েছে। বিষয়টি আদালতের নজরে আসার পর পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশের পর নতুন করে তদন্ত করা হয়। তাতে আসল আসামি সালেককে শনাক্ত করা গেছে। তবে চার্জশিট থেকে জাহালমকে বাদ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সালেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। সে ভারত বা নেপালে পালিয়ে আছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। যেখানেই থাকুক ধরা পড়ে যাবে।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে/‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।

প্রতিবেদনে উঠে আসে, সোনালি ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ ৩৩টি মামলার প্রকৃত আসামির নাম আবু সালেক হলেও, জেল খাটতে হয়েছে নিরাপরাধ জাহালমকে। পরে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে দুদক ও সংশ্লিষ্টদের ডেকে পাঠান আদালত।

এ ধরনের ঘটনাকে জজ মিয়া কাহিনীর সাথে তুলনা করেন আদালত। সেইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করতে দুদক আইনজীবীদের নির্দেশ দেয়া হয়। যদিও দুদক আইনজীবীদের দাবি, এ ঘটনায় তাদের কোনো গাফিলতি নেই।

পরে দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজির হলে হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং এ বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চান আদালত।

এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল জাহালমকাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট এবং একটি রুলও জারি করেন। পরে দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন