সৌরভ মন্ডল,দাকোপ :
খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার ০৭নং তিলাডাঙ্গা ইউনিয়নে ০৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সন্জয় সরদারের বিরুদ্ধে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এবং করোনা সময় কালিনী সরকারি আর্থিক সহায়তা পঁচিশশত টাকা অসহায় গরীবদের জন্য প্রাপ্ত খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি পাওয়া যাচ্ছে।সরকারি ত্রান ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এলাকাবাসীর।
প্রধানমন্ত্রী কতৃক করোনা কালিনী সময়ে গরীবদের উদ্দেশ্য দেওয়া আর্থিক সহায়তা পায়নি এমন অনেক পাওয়ার জগ্য অসহায় গরীব পরিবার রয়েছে এমন অনিয়মে ভরা একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ।
দূর্নীতির অভিযোগ ওঠা ঐ জনপ্রতিনিধির নিজেস্ব মোবাইল নম্বর ও পাওয়া যাচ্ছে আর্থিক সহয়তা পাওয়া সাধারণ জনগণের নামের লিষ্টে।রয়েছে এক সরকারী কর্মচারী গ্রাম পুলিশের মোবাইল নাম্বার।এছাড়াও দু’তিনজন শিক্ষক একাদধিক প্রভাবশালী পরিবারের এবং ত্রিশ কেজি চাউলের কার্ড ধারীরা ও আছে আর্থিক সহয়তা পাওয়া নামের লিষ্টে ।বঞ্চিত হয়ে আছে অনেক অসহায় গরীব পরিবার যাদের পাওয়ার কথা কিন্তু পায়নি তারা। সর্বমোট ছাব্বিশটি নাম নাম্বারে অনিয়মর প্রমান মেলে লিষ্টে।
দূর্নীতির শিকার ভুক্তভোগী একজন ০৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবাশীষ কবিরাজ বলেন, তার নাম আইডি কার্ড ঠিক আছে কিন্তু মোবাইল নাম্বারে মিল নেই। সেখানে তার নাম্বারের পরিবর্তে আছে মেম্বর সন্জয় বাবুর নিজের মোবাইল নাম্বার। অনেক গুলা নাম নাম্বারে অনিয়ম আছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে সম্প্রতি সময়ে ঐ ওয়ার্ডের দুই শত তেইশ জন ব্যাক্তির স্বাক্ষর ভুক্ত একটি অভিযোগ পত্র সরকারের উচ্চ মহলের বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করা হলে ও কোন প্রতিকার এখনো পাওয়া যায়নি বলে দাবি এলাকাবাসির।
এছাড়াও সরকার যখন করোনার কারণে বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের কথা ভাবে বিভিন্ন সময় এতো ত্রান সহায়তা করছেন তখন সঠিক ভাবে সেগুলাও পাচ্ছে না সাধারণ জনগন ।
আরো জানাযায়, চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে ও রয়েছে ব্যাপক দূর্ণীতি দিচ্ছে পয়ত্রিশ দিনের কাজের টাকা অভিযোগ করোনার অযুহাতে দুই হাজার টাকা করে কেটে নিচ্ছে প্রতিটা ব্যক্তির কাছে থেকে।সব মিলায় হিসাব মিলছে না তাদের বাকী ন্যায্য টাকার।পয়ত্রিশ দিনের কাজের বিল আসে সাত হাজার টাকা।কিন্তু সেখানে ও পাচ্ছে না অনেকে তাদের সঠিক টাকা।
অত্র ওয়ার্ডের চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে কর্মরত অনিতা সরদার নামে একজন মহিলা বলেন,তার জব কার্ডে লেখা আছে পাচ হাজার ছয়শত টাকা কিন্তু সে তার কাজের পারিশ্রমিক পেয়েছেন মাত্র চার হাজার নয়শত পঞ্চাশ টাকা বাকিটা কোথায় গেলো জানে না সে।
০৭ নং ওয়ার্ডের অভিযুক্ত সেই ইউপি সদস্য সন্জয় সরদার বলেন, আর্থিক সহায়তা দেওয়া এ লিষ্টের ব্যপারে সে আগে বুঝতে পারিনি এটা সধারণ জনগনের আর্থিক অনুদানের তাই ভুল বসত কিছু নাম্বার সেখানে চলে যায়। ব্যাস্ততার কারনে এগুলো আর সংসধন কার সম্ভব হয়নি।
কিছুটা দোষ প্যানেল চ্যেয়ারম্যানের উপর দিয়ে আরো বলেন,ইউপি সদস্যদের উপর আস্থা না রেখে বেশির ভাগ কাজ নিজস্ব লোক দিয়ে করিয়ে থাকে প্যানেল চ্যেয়ারম্যান। আগে থেকে তাদের সঠিক ভাবে কোনো ব্যাপারে অবগত করা হয় না।তিনি নিজেই এখন তার শিকার করেছেন তার কিছুটা ভুলের কারনে।
ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দোক্তা পরিক্ষিত বৈরাগীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি জানেন এবং দেখেছে এটা সঠিক। আরো বলনে তিনি ০৭নং ওয়ার্ডের লিষ্ট সন্জয় বাবু নিজে থেকে তৈরি করে দিয়েছিলেন। সে তখন ব্যাস্ততার মধ্যে ভালো ভাবে যাচাই না করে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন পরে লিষ্ট যখন চুড়ান্ত ভাবে পরিষদে আসে তখন তারা অবগত হয় এর মধ্যে ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়।তবে এটা ভুল বসত হতেপারে বলে তার ধারনা।
পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রঞ্জিত বাবু বলনে, তাহার বিরুদ্ধে আগে পরে বিভিন্ন অনিয়ম আছে।লিষ্টের ব্যাপারে তকেও পরে আর তেমন কিছু জানায়নি বলে তার অভিযোগ। তবে তার ওয়ার্ডে তাকে সভাপতি করে তিনি লিষ্ট করার দায়ীত্ব দিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।পরবর্তীত্বে পি আই ও, স্যার ও uno স্যারের ব্যাস্তার জন্য দ্রুততার সথে সবাই তাকে তখন কিছু না জানিয়ে লিষ্ট জমা দিয়ে দেয়।
কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বিষয়টা জানতে পারেন যখন এক এক করে ভুল বের হতে থাকে। তার বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ তিনিও সঠিক বলে দাবি করেন এবং এটা একান্তই সে নিজের ইচ্ছায় করছেন বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে মুঠো কথা হলে তিনি জানান,তার দপ্তরে এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি সে।তবে বষয়টি নিয়ে তিনি অবগত আরো বলেন তিনি যাদের পাওয়ার কথা অসহায় গরীব পরিবার তারা পাচ্ছে না এ ব্যাপারে পুনারায় সংসধনের কাজ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন।
দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে মুঠো ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,এমন অনিয়ম অনেকে করেছে। কিছু কিছু মেম্বার চেয়ারম্যান আছে যার এমনটা সব ক্ষেত্রে করে থাকে তাদের কাছের কিছু কাছের লোকজনের জন্য।
সামনে নির্বাচনের কথা ভেবে তবে এটা সম্পূর্ণ অনুচিত। তিনি তার সব মেম্বার চেয়ারম্যানদের বলে থাকেন কোনো ভাবে কোথাও যেনো তাদের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম প্রকাশ না পায়।তার পরও যদি কেউ এটা করে একান্তই তার দায়ভার তার ব্যক্তিগত এবং এ অনিয়ম সঠিক বলে তিনি মনে করেন।
সর্বপরি অত্র ইউনিয়নের সাধারন জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, শুধু এমন ধরনের কাজ না এর আগে ও সরকারি চাউল চুরির সাথে জড়িত,বাবলা গাছ কর্তন সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন তিনি।কোন প্রতিবাদ করে ও সুফল পায় না তারা।
তিলডাঙ্গ ইউনিয়নের সর্ব সাধারণ গরীব অসহায় মানুষদের বর্তমান সময়ের দাবি তদন্ত সাপেক্ষে বিবেচনা করে কঠোর ব্যবস্থ গ্রহন করুক কতৃপক্ষ ডিসি মহোদয় না তো আস্থা হারাবে সাধারণ মানুষ এমন দূর্নীতিবাজদের জন্য বর্তমান সরকারের উপর।অবাদে হরদমই চলছে দূর্নীতি-অনিয়ম। এসব দূর্নীতি চক্রদের শাস্তি হোক এটাই দাবি তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ড বাসীর।