জাতীয় ডেস্ক:
সেপ্টেম্বরে ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দিলেও পুরো প্রকল্পের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে চট্টগ্রামের শত বছরের পুরানো ও মেয়াদোত্তীর্ণ কালুরঘাট সেতু। প্রকল্পের ভারী ইঞ্জিন ও অত্যাধুনিক দ্রুতগামী ট্রেনের ভার বহনের ক্ষমতা নেই জরাজীর্ণ সেতুটির।
আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ স্বপ্নের ট্রেন যাওয়ার কথা রয়েছে। এরইমধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে চকোরিয়া পর্যন্ত দুই লটে ১০০ কিলোমিটার কাজের ৮৫ শতাংশ শেষ। ৯০ শতাংশ শেষ হলেই চলতে পারবে ট্রেন।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, আমরা সেপ্টেম্বরে টার্গেট রেখেছি। আশা করি কাজ ট্রেন চলাচল শুরু করে দিতে পারব।
কিন্তু পুরো প্রকল্পের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ শতবছরের কালুরঘাট সেতু। ১১০ কিলোমিটার বেগ আর ১৫ টন ওজনের ইঞ্জিনে চলবে এ প্রকল্পের অত্যাধুনিক দ্রুতগতির ট্টেন। তবে এ সেতুতে চলতে পারবে মাত্র ১০ টন ওজনের ইঞ্জিন ও ১০ কিলোমিটার গতিতে। ভেঙে গেছে কাঠের পাটাতন ও রেলিং। নড়বড়ে গার্ডার ও অ্যাঙ্গেলসহ নানা অবকাঠামো। তবে সেতুটি সংস্কারে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বুয়েটের পরামর্শক দল। তারপরও চ্যালেঞ্জ বলছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, এই সেতুতে একটু ঝুঁকি আছে। তারপরেও আমরা সংস্কার কাজ শুরু করেছি। আসা করি ট্রেন চালানো যাবে।
নগর পরিকল্পনাবিদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ১৮ হাজার কোটি টাকার ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পে সফলতা তো দূরে থাক, উল্টো বড় দুর্ঘটনায় ভোগান্তি বাড়বে। এ প্রকল্পে অনেক ঝুঁকি রয়েছে।
এডিবির অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের অধীনে ১০টি স্টেশন থাকবে। চলবে ১০টি ট্রেন।