এনামুল বাসার টিটো,ডুমুরিয়া :
করোনা ভাইরাস মহামারী ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সারাদেশের ন্যায় ডুমুরিয়া উপজেলায় জরুরি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ে এই সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সমগ্র ডুমুরিয়ায়। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: শাহানাজ বেগম বলেন, আজ পর্যন্ত আমরা সরকারিভাবে ১৯৩ মেট্রিকটন চাল পেয়েছি। যা উপজেলার ১৯হাজার ৩শত টি পরিবারের মধ্যো খাদ্যদ্রব্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়া মাননীয় সংসদ সদস্য ৭৭০ টি পরিবার,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ১০০০ টি পরিবার, উপজেলা পরিষদের অপ্রত্যাশিত খাত থেকে ২০০ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে । উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৫৫০টি পরিবার ও উপজেলা ব্লাড ডোনার গ্রুপ ৫৫০ টি পরিবার কে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ অনেকেই ব্যক্তি পর্যায়ে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন।
আবার ব্যাক্তি পর্যায়ে অনেকের খাদ্যদ্রব্য বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।এছাড়াও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৮৯৫৬ টি পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন, VGD কর্মসূচির আওতায় ১৮৭৫ জন দুস্থ মহিলা প্রতিমাসে বিনামূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন কিন্তু একেবারে খাদ্য সহায়তা থেকে বাদ পড়েছেন এমন লোকদের জন্য উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে। ডুমুরিয়ার উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তাগন, সকল কলেজ, হাইস্কুল, মাদ্রাসা, ও প্রাইমারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন,ডুমুরিয়ার ইটভাটা মালিক সমিতি সহ অনেক সুধীমহল কে নিয়ে গঠন করা হয়েছে বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেল।
তিনি বলেন, আমরা জানিনা এই করোনা মহামারি দূর্যোগ কতদিন থাকবে। তাই খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম সরকারি ও বেসরকারিভাবে অব্যাহত থাকবে ডুমুরিয়ায়। যে সকল ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান খাদ্য সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন,এই কঠিন সময়ে সকল দল, মত, জাতি,ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমরা সকলে যদি আন্তরিকভাবে কাজ করি তাহলে করোনার প্রাদুর্ভাবে ডুমুরিয়ার ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে আনতে পারবো। কিন্তু ভাইরাস একবার ছড়িয়ে গেলে তা মোকাবেলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই যত কষ্টই হোক আপনারা সবাই ঘরে থাকবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। ভয় পাবেন না,ধৈর্য্য ধরেন সকল আধার কেটে আলো আসবেই ইনশাআল্লাহ।
তিনি,সরকারি ত্রাণের তালিকাভূক্তিদের উদ্দেশে বলেন,আপনারা স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড মেম্বরের নিকট থেকে আপনাদের খাদ্যদ্রব্য বুঝে নিন। আরও পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ আসবে, কেউ খাদ্য সহায়তা থেকে বাদ যাবেন না। দয়া করে আপনারা ধৈর্যহারা হবেন না, ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।