হোম অর্থ ও বাণিজ্য ডুবে যাওয়া ১০০ কোটি টাকার পণ্যবাহী জাহাজ নিয়ে বিপাকে আমদানিকারকরা

বাণিজ্য ডেস্ক:

চট্টগ্রাম বন্দরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ১০০ কোটি টাকার পণ্য নিয়ে ডুবে যাওয়া পানগাঁও এক্সপ্রেস জাহাজ নিয়ে এবার চরম বিপাকে আমদানিকারকরা। নোনা পানিতে সব মালামাল নষ্ট হলেও নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধে চাপ দিচ্ছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর মাঝে পণ্যসহ সাগরে ভেসে গেছে ২২টি কনটেইনার। বাকিগুলোর অবস্থাও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।

গত ৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭২টি পণ্য বোঝাই কনটেইনার নিয়ে ঢাকার পানগাঁও বন্দরে যাচ্ছিল পানগাঁও এক্সপ্রেস নামের একটি জাহাজ। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে জাহাজটি সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যায়। অবশ্য প্রথম পর্যায়ে ৩টি কনটেইনার সাগরে পড়ে গেলে জাহাজটি কাত হয়ে গিয়েছিল।

সরেজমিন চিত্র বলছে, সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যাওয়া পানগাঁও জাহাজ থেকে আমদানি করা পণ্য বাঁচাতে খোদ আমদানিকারক স্যালভেজ প্রতিষ্ঠানের ডুবুরিদের পাশাপাশি নিজেও সাগরে নেমে গেছেন। শেষ সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করছেন নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্য থেকে কিছু হলেও বাঁচানো যায় কি না। অবশ্য টাগ বোটের ওপর বসানো ক্রেন এবং সাগরে ডুবুরি নামিয়ে ডুবে যাওয়া কনটেইনার তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্যালভেজ প্রতিষ্ঠান।

গত কয়েক দিনে সাগর থেকে ক্রেনের সাহায্যে ২৩টি পণ্য বোঝাই কনটেইনার তোলা হয়েছে। কিন্তু তিন মাস সাগরের নোনা পানিতে ডুবে থাকায় কনটেইনারগুলোর অস্তিত্ব যেমন বিপন্ন, তেমনি আমদানি করা পণ্যগুলোও আর অক্ষত নেই। সব পণ্যই এক প্রকার নষ্ট হয়ে গেছে। এর মধ্যে ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর পাশাপাশি রয়েছে ফেব্রিক্স, মোবাইল পার্টস, এম এস শিট কয়েল এবং মোটর পার্টস।

বাকি ৩২টি কনটেইনার কবে নাগাদ তোলা যাবে তা-ও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অবশ্য তার আগেই সাগরে হারিয়ে গেছে পণ্য বোঝাই ২২টি কনটেইনার। এ বিষয়ে বেনাপোলের রাবেয়া মোটরসের মালিক ওজিউর রহমান বলেন, ‘কনটেইনারগুলোর মধ্যে যে পণ্যগুলো রয়েছে, সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সেই পণ্যগুলো উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

আমদানিকারকদের অভিযোগ, সাগরে ডুবে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন তাদের ১০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়ে গেছে, এখন কাস্টম কর্তৃপক্ষ আমদানি করা পণ্যের ওপর নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এ অবস্থায় তারা চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়েছে। বিশেষ করে নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্যের শুল্কহার পরিশোধের যেমন চাপ রয়েছে, তেমনি নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্যও গ্রহণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এ বিষয়ে পি আর স্টিলের মালিক মাসুম পলাশ বলেন, আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। একে তো জাহাজ ডোবার পর আমরা নিঃস্ব। এখন নষ্ট পণ্য ডিউটি দিয়ে আমরা কীভাবে নেব। আমরা একদম পথে বসে গেছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন