হোম অন্যান্যসারাদেশ ডিসি সুলতানার বিরুদ্ধে থানায় সাংবাদিক আরিফের অভিযোগ

ডিসি সুলতানার বিরুদ্ধে থানায় সাংবাদিক আরিফের অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 141 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :

কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে অমানবিক নির্যাতন ও সাজা দেওয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আরিফুল ইসলামের পক্ষে এজাহারের কপি থানায় পৌঁছে দেন সাংবাদিরা।

এতে কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার- রাজস্ব (আরডিসি) নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (এসি) রিন্টু বিকাশ চাকমা, সহকারী কমিশনার (এসি) এসএম রাহাতুল ইসলাম এবং অজ্ঞাত আরও ৩৫ থেকে ৪০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান মামলার এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

অভিযোগ দাখিলের সময় বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার নুরুজ্জামান লাবু ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লবসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা থানায় উপস্থিত ছিলেন।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘আরিফুল ইসলামকে মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়া, নির্যাতন করা, ক্রস ফায়ারের জন্য নিয়ে যাওয়া, পরিবারের জানার বাইরে জামিন দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। ভবিষ্যতে যেন আর এ ধরনের কোনো ঘটনা বাংলাদেশে না ঘটে এজন্যই আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি করা জরুরি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অভিযোগ ব্যক্তিপর্যায়ে নিয়ে বিচার করতে হবে। আমরা সরকার কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নই। এটি বিবেচনায় নিয়েই সরকারকে আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার করতে হবে। নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করা আরিফুল ইসলামের সাংবিধানিক অধিকার।’

বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার নুরুজ্জামান লাবু বলেন, ‘ঘটনা যে ধরনের ছিল তাতে ফোজদারি আইনে বিচার করা জরুরি বলে মনে করি। দেশে যাতে আর এই ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্যই থানায় আরিফুল ইসলাম এজাহার দাখিল করেন, যা আমরা ওসির কাছে জমা দিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করি, পুলিশ আরিফুল ইসলামের মামলা গ্রহণ করে আসামিদের বিচারের মুখোমুখি করবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসায় হানা দিয়ে তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকিসহ ডিসি অফিসে এনে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এরপর আরিফকে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়ার অভিযোগ এনে ওই রাতেই এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। পরে ১৫ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন