বাণিজ্য ডেস্ক:
বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হবে। এজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যদিও উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যাবে না। তবে এ ব্যাপারে ডব্লিউটিও এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
ডব্লিউটিও থেকে ইতিবাচক সাড়া কাজে লাগানোর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্য নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এলডিসি গ্রাজুয়েশনের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারস্পারিক বৈদেশিক সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য চমৎকার স্থান উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
চলতি সপ্তাহে সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সাধারণ সভায় জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের পরেও অর্থাৎ এলডিসি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হলেও শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারবে বাংলাদেশসহ গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা অন্যান্য দেশ।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিওর মন্ত্রীপরিষদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে বাংলাদেশসহ এলডিসি গ্রাজুয়েশন প্রত্যাশী দেশগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধা আরও ছয় বছর বাড়ানোর জন্য ডব্লিউটিওকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মূলত করোনা পরবর্তী ধকল এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক মন্দাভাবের কারণে আরও সময় চাচ্ছিল এসব দেশ।