ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ
ঝিকরগাছা উপজেলার কানাইরালী গ্রামে বসতবাড়ি ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করেও সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
জানা যায়, উপজেলার কানাইরালী গ্রামে আমিন জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে তার প্রতিবেশীর আব্দুর রাজ্জাকের এ জমি নিয়ে ঝামেলা হয়। পরে জমি মাপজোক করে দেখা যায়, আমিন জাহাঙ্গীর হোসেনের বসতবাড়ির কিছু অংশ আব্দুর রাজ্জাকের ভাগে পড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশি হয় এবং জাহাঙ্গীরকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়। সেই মোতাবেক জাহাঙ্গীর পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে কিন্তু ঘরে ওঠার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।
এজন্য ঘর ভাঙতে দেরি হওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলে আব্দুর রব শিওরদাহ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই সোহেল রানা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেন। এ সময় জাহাঙ্গীর ঘর ভাঙার জন্য দুই মাস সময় নেয়। কিন্তু দুই মাস না যেতেই আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলে আব্দুর রব কোনো আলোচনা ছাড়াই রোববার সকালে লোকজন নিয়ে জাহাঙ্গীরের বসতঘর ভেঙে দেয়।
এ সময় জাহাঙ্গীর শিত্তরদাহ ফাঁড়িতে ফোন দিলেও পুলিশ কোন সহযোগিতা দেয়নি বলে তিনি অভিযোগে জানান। বসতঘর ভাঙার সময় তার ঘরে থাকা আসবাপত্র ভেঙে গেছে। এছাড়া সিএস ম্যাপ, জমির দলিল, মূল্যবান বই ও কাগজপত্র, নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার সহ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমি নতুন বাড়িঘর করেছি। আমার নতুন বাড়ি বসবাসের উপযোগী হয়নি বলে সময় নিয়েছি। এএসআই সোহেল রানা আমাকে দুই মাস সময় দিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে তারা আমাকে কিছু না বলে আমার বসতঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। এতে করে তারা শুধু আমার আর্থিকভাবে ক্ষতি করেনি, সমাজে আমার সম্মানহানি করেছে।
আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রব জানান, জমি মাপযোগ ৩/৪ বছর হয়েছে কিন্তু সে আমাদের জমি ছেড়ে দেয়নি। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বলেছি। কোনো কাজ না হওয়ায় শিওরদাহ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছি। সেখানে এএসআই সোহেল রানা জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলেছে। সে বলেছে, আমার কাছে টাকা নেই তাই ঘর ভাঙ্গতে পারছি না। পারলে ওরা ভেঙে ফেলুক। তাই আমরা ভেঙে দিয়েছি।
এএসআই সোহেল রানা জানান, আমি ঘরভাঙার কথা বলেনি কিংবা ঘরভাঙার সময় আমার কাছে কেউ ফোন করেনি। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া আমি কারও ঘরভাঙার কথা বলতে পারি না। আর কোর্টের অর্ডার ছাড়া কেউ ঘর ভাঙতে পারবে না।
শিওরদাহ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান জানান, আমি কিছুই জানি না। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন, আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।