হোম অন্যান্যসারাদেশ ঝিকরগাছার শংকরপুরে কুল চাষিদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ 
ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ 
ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নে কুলের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কুলচাষীদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাতে শংকরপুর ইউনিয়নে একাধিক গ্রামে কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে।
শংকরপুর ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া গ্রামের প্রবীণ কুল চাষী এনায়েত আলী বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ কুলের ফলন হলেও দাম না পাওয়াতে আমরা সঠিকভাবে কুল বিক্রি করতে পারছিনা, বর্তমানে কুলের যে দাম তা হিসাব করে দেখা যায় ডিলারের সার কীটনাশকের  টাকা, মালিকের জমির খাজনার টাকা এবং লেবারের মজুরি দেওয়া আমাদের পক্ষে দুর্বিষহ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে এক কেজি কুলের বাজার মূল্য (দাম) ৫ থেকে ৬ টাকা হওয়াতে, কুল ভাঙ্গা থেকে শুরু করে রাজধানী সহ বিভন্ন শহরে পাঠানো খরচ ৮-১০ টাকা পড়ে যাচ্ছে, সুতরাং দেখা যায় প্রতি কেজিতে ৩-৪টাকা চাষীদের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। যদি কুলের বাজার মূল্যবৃদ্ধি না হয় তাহলে আমাদের পক্ষে আগামীতে কোন ভাবে কুল চাষ করা সম্ভব হবে না। একদিকে ডিলারের সার কীটনাশকের টাকার চাপ, অন্যদিকে জমির খাজনার জন্য  জমির মালিকের চাপ।
নতুন কুলচাষী হাসানুজ্জামান বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে কুলের চাষ করেছি, কুলের ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু কুলের দাম সঠিক ভাবে না পাওয়াতে জমির খাজনার টাকা ডিলারের সার কীটনাশকের টাকা পরিশোধ করতে পারছিনা, এমনকি শ্রমিকের মজুরী পর্যন্ত দিতে পারছিনা। কুলের সঠিক মূল্য না পাওয়াতে সঠিক সময়ে গাছ থেকে কুল নামাতে পারছি না, যার ফলে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
শংকরপুর ইউনিয়নের একাধিক কুল চাষীদের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পারলাম কুলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়াতে তাদের জীবনযাত্রার মান খুবই দুর্বল এবং সংকটাপন্ন। এলাকার কুলচাষীদের প্রাণের দাবি সরকার যদি একটু সহানুভূতি দেখিয়ে কুলের বাজার মূল্য যদি একটু বুদ্ধি করতো তাহলে কিছুটা ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হতো। সুতরাং আমরাও চাই কুলচাষীরা বেঁচে থাকুক, আগামীতে কুল চাষ করতে আবারো সৎ ইচ্ছা প্রকাশ করুক।
s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন