খেলাধূলা ডেস্ক:
দেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার বলা হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট শতক করার রেকর্ডের অধিকারী তিনি। কীর্তিমান এই ক্রিকেটার দীর্ঘদিন থেকেই জাতীয় দলের বাইরে আছেন। দেশ যাকে নিয়ে দেখেছিল স্বপ্ন, যাকে ঘিরে ছিল আশা; সেই আশার ফুল ঝরে পড়েছেন জাতীয় দল থেকে। ঝরে পড়া এই ফুল আবারও দেখাচ্ছেন আশার আলো। আশরাফুল নতুন রূপে ফিরতে চাচ্ছেন কোচ হয়ে।
‘আমি এখনও মাঠে থাকতে পছন্দ করি, ক্রিকেট খেলি। ড্রেসিংরুম উপভোগ করি। প্রচুর খেলা ফলো করি, বল বাই বল খেলা উপভোগ করি, ভালো লাগে। আমার মনে হয়েছে দ্বিতীয় কোনো ক্যারিয়ার শুরু করলে ক্রিকেটের মধ্যেই থাকা উচিত এবং সেটা কোচ হিসেবে থাকতে পারলে আরও ভালো।’ আলাপচারিতায় এমনটিই বলছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
ক্রিকেটার হিসেবে নিশ্চয়ই কোনো লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আছে বা ছিল। এখন কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো লক্ষ্য আছে কি না?–জানতে চাইলে আশরাফুল বলেন, ‘অবশ্যই লক্ষ্য আছে। বিশেষ করে খেলার সাথে থাকাটাই লক্ষ্য। যেহেতু আমার ২৭ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, এই অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশকে ভালো সার্ভিস দেয়াই মূল লক্ষ্য।’
সম্প্রতি কোচিং ক্যারিয়ারে আসার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে কোর্স করতে গিয়েছিলেন আশরাফুল। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, কী ধরনের কোর্স ছিল বা কতটা কাজে দিবে এই কোর্স? জবাবে সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অধীন আইসিসির লেভেল-৩-এর কোর্স ছিল এটি। যেহেতু আমার কোচিং ক্যারিয়ারে আসার ইচ্ছা, এই সার্টিফিকেটগুলো অনেক কাজে দেবে। ২০০৯ সালে সবশেষ লেভেল-৩ কোর্স হয়, সবশেষ ১৪ বছরে লেভেল-৩ কোর্স বাংলাদেশে আসেনি, সেই জায়গায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি এই কোর্স করতে পেরে। কারণ, লেভেল-৩ কোর্স সম্পন্ন করতে পারলে যেকোনো দেশের প্রধান কোচ হওয়ার সুযোগ থাকে। এই কোর্স দিয়ে যেকোনো দেশের প্রধান কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।’
আকরাম খান বলেছেন বিসিবি থেকে আপনাকে কোচিং করানোর জন্য প্রস্তাব দেয়া হবে। এই ব্যাপারটি জানেন কি না বা যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা?–আশরাফুল বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমে খবরটি দেখেছি, আকরাম ভাই এই কথা বলেছেন। যেহেতু আমি এখনও খেলে যাচ্ছি, হয়তো এ কারণে প্রস্তাব দেয়া হয়নি। যখন আমি খেলা থেকে অবসর নেব, তখন হয়তো প্রস্তাব দিতে পারে।’
২০১৩ সালের পর আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি সাবেক এই অধিনায়ক। অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এসেও নিজেকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারেননি। জাতীয় দল থেকে বিদায়টাও নায়কের মতো হয়নি। জাতীয় দলের ক্রিকেটকে এখনও মিস করেন কি না? জানতে চাইলে আশরাফুল বলেন, ‘অবশ্যই মিস করি। আর মিস করি বলেই এখনও খেলে যাচ্ছি। আমার সাথে যারা ছিলেন তারা অনেক আগেই অবসরে গেছেন। আমি এখনও নিজেকে ফিট মনে করি, খেলাটাকে উপভোগ করি, তাই এখনও খেলে যাচ্ছি। আর একটা সিজন খেলার ইচ্ছে আছে। যেহেতু আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান হতে ৮০৮ রান বাকি। এটা পূরণ হলে হয়তো আমি সিদ্ধান্ত নেব, অবসরে যাব কি না।’