হোম আন্তর্জাতিক জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে মন্ত্রী-আমলাদের পেট্রল কোটা কমালো পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

পাকিস্তানে ক্রমেই বেড়ে চলেছে জ্বালানির দাম। গেল বৃহস্পতিবার (০২ জুন) দ্বিতীয় ধাপে জ্বালানির দাম বেড়েছে ৩০ রুপি। এর পরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ সরকারি গাড়ির জ্বালানি কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খবর জিও নিউজ।

জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পরই নড়েচড়ে বসে শাহবাজ শরিফের সরকার। তিনি শুক্রবার (০৩ জুন) সরকারি গাড়ির জ্বালানি কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে জ্বালানি তেলের মূল্য প্রতি লিটার ২০৯.৮৬ রুপি ঘোষণা করা হয়। পেট্রল, ডিজেল এবং লাইট ডিজেল লিটারপ্রতি ৩০ রুপি করে বাড়িয়ে এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়। আর কেরোসিনের মূল্য লিটারপ্রতি ২৬.৩৮ রুপি বাড়ানো হয়, যা ৩ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে।

ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘৩০ রুপি দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার পেট্রলে এখনো ৯ রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। আমরা জ্বালানি তেল থেকে কোনো ধরনের শুল্ক নিচ্ছি না।’

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ঋণ প্যাকেজের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ঋণ পেতে ভোগ্যপণ্য থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এরই অংশ হিসেবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

এমন এক সময় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো, যখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি সরকার ও আইএমএফ। মূলত জ্বালানি ও বিদ্যুতের ভর্তুকি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা এবং পরবর্তী বছরের বাজেটে সংস্কার নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

এর আগে, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছিলেন, আগামী ১৫ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগ পর্যন্ত আমার লক্ষ্য হলো মুদ্রাস্ফীতি এবং দারিদ্র মোকাবিলা করা।

তিনি আরও বলেন, আমার দৃষ্টি হলো পাকিস্তান পুনর্গঠন। দারিদ্র্যতা কমিয়ে আনতে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এবং মিতব্যয়িতা নিশ্চিতে সরকারি খাতে বাজেট কমাব।

এদিকে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও সিন্ধু প্রদেশের সরকার এবং করাচি প্রশাসন কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা পেট্রলের কোটা ইতোমধ্যেই কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। পেট্রলের কোটা ৩৫-৪০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জ্বালানি খরচ কমাতে প্রাদেশিক সরকারের অধিনস্ত সকল বিভাগ, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পেট্রল কোটা ৩৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয় খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকার। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ প্রাদেশিক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের পেট্রলের কোটা ৪০ শতাংশ কমানোর কথা ঘোষণা দেন। দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন