জাতীয় ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ, দিনভর টানা বর্ষণ এবং অতি জোয়ারের পানিতে পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। জেলার কোথাও কোথাও দুই থেকে আড়াই ফুট পর্যন্ত পানি উঠেছে।
সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমুরিতলা এবং ইন্দুরকানী, ভান্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। ফলে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
এতে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলার ৫ হাজার হেক্টর আউশের ক্ষেত ও ১২ হাজার হেক্টর আমনের বীজতলা। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক শত মাছের ঘেরও। আর মাঠ-ঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বিভাগের মোট ২৩টি নদীর মধ্যে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি প্রবাহ এখন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ঝালকাঠি জেলার বিষখালী নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বলেশ্বর-পায়রা নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পিরোজপুর জেলার উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর পানি ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।