হোম অর্থ ও বাণিজ্য জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক

জুনের মধ্যে খেলাপি ঋণ ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 14 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতির বিবৃতিতে (এমপিএস) বলা হয়েছে, আগামী জুনের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য এই আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষে ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকায়, যা দেশের মোট ১৬ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ।

মুদ্রানীতির প্রতিবেদনে বলা হয়, খেলাপি ঋণ বেড়ে মোট ঋণের ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা ব্যাংকিং শিল্পের জন্য গুরুতর উদ্বেগের।

আর্থিক খাতের প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিক দুর্বলতা, নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি এবং অর্থপাচার ও অবৈধভাবে পুঁজি বিদেশে পাচারের মতো দুর্নীতি, অনিয়মের মতো অনুঘটক এজন্য দায়ী।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং খাতের ওপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

খেলাপি ঋণের বাড়বাড়ন্ত মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মুদ্রানীতির ঘোষণায় জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা জোরদার, ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নিশ্চিত ও যথাযথভাবে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দিয়েছে। তারা মনে করছে, এর মধ্য দিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যেমন- এক্সপেকটেড ক্রেডিট লস মেথডলোজি, ২০২৭ সালের মধ্যে এটি চালু করা হবে। আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হবে। সে জন্য কী কী করতে হবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, সে জন্য ব্যাংকের ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্ত, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ঋণ ব্যবস্থাপনা রীতি-সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী— এসব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই মডেলের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে ঋণের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো সম্ভব হবে।

সেই সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকের আইন বিভাগগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ করে যেসব ঋণ অর্থঋণ আদালত ও উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে, সেগুলোর জট ছাড়াতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা উন্নত করা ও এই খাতের সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এসব ঝুলে থাকা বিষয়ের জট ছাড়াতে আইন বিভাগের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন