আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
জার্মানিতে শেষ তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে। আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আর এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে পরমাণু যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। যদিও ছয়মাস আগে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসার কথা ছিল জার্মানির, কিন্তু রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হয়। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মস্কো থেকে গ্যাস সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জার্মানিতে জ্বালানি-সংকটের আশঙ্কা বেড়ে গিয়েছিল। তবে, সরকারের তৎপরতা দ্রুত বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে পারমানবিক উৎসের ওপর নির্ভরতা করার আর কোনো কারণ নেই।
বাসস আজ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানিতে ১৯৬৭ সালে প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। দেশটির জ্বালানি প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার পর ঘাটতি পূরণ করতে আরও দ্রুতগতিতে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র্র গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কেন্দ্র গ্যাসের বদলে হাইড্রোজেন দিয়েও চালানো সম্ভব হতে পারে। তবে, এমন কেন্দ্রে বিনিয়োগের জন্য সরকার কোনো উৎসাহ না দেওয়ায় সেই উদ্যোগে গতি আসছে না।
জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয়ের পর জার্মান সরকার ২০১১ সালে এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে ২০০২ সালেও তৎকালীন সরকার নীতিগতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নতুন করে কোনো কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়নি।