জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) তড়িঘড়ি করে অনলাইনে ৯৩ তম সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করার পর তা স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ বলেন, উপাচার্যের সম্মতিতেই আজ অনলাইন সিন্ডিকেট আহ্বান করা হয়েছিল। অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। অতিশীঘ্রই আবার সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হবে।
এরআগে উপাচার্য অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তড়িঘড়ি করে এই সিন্ডিকেট সভা আহবানের নেপথ্য নিয়ে সমালোচনা হয় সিনিয়র শিক্ষকদের মাঝে। উপাচার্য অসুস্থ। অন্যদিকে কোষাধ্যক্ষ ড. কামালউদ্দীন আহমদের সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের এখতিয়ার নেই। তাই এই পরিস্থিতিকে কেন সিন্ডিকেট সভা ডাকা হলো এ নিয়েও সন্দিহান সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। ‘জবিতে তড়িঘড়ি করে সিন্ডিকেট আহ্বান’ শিরোনামে গণমাধ্যমে উঠে আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৭ জন কর্মচারীর নিয়োগসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সিন্ডিকেট অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। একটি অসাধু নিয়োগ বাণিজ্য চক্র পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে তড়িঘড়ি করে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করতে চান। যদিও কোষাধ্যক্ষের সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের ক্ষমতা নেই। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক রাজধানীর পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত লাইফ সাপোর্টে আছেন।
এরআগে গত শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিন্ডিকেট ডাকার বিষয়ে এক সিদ্ধান্ত জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিলেকশন বোর্ড ২ বার ডেকেও তা স্থগিত করা হয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন বাদে সিন্ডিকেট সভা হলে শিক্ষকদের মাঝে সিনিয়র-জুনিয়র বৈষম্য দেখা দিবে।
শিক্ষক সমিতি চিঠিতে আরো বলেন, শিক্ষকদের সাধারণ সভায় বর্তমান উপাচার্য স্যারের প্রায় অচেতন বা অর্ধচেতন (হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র মতে) অবস্থায় প্রথাবিরোধী এবং আনঅফিসিয়াল প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল স্বাক্ষর করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এ নিয়ে অধিকাংশ সহকর্মী অসন্তোষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রশাসন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক শৃঙ্খলা অনুসরণ করার জন্য সভায় মতামত ব্যক্ত করেন।