হোম আন্তর্জাতিক চীনে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ভয়াবহ বন্যার কবলে চীনের দক্ষিণ ও উত্তর পূর্বাঞ্চল। নদীর তীর ভেঙে প্লাবিত হয়েছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় গুয়াংজু প্রদেশ। চীনের আরেক শহর হারবিনেও তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।

বন্যা কবলিত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

পানিতে ডুবে আছে সড়ক। এরমধ্যেই চলছে যানবাহন। যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। এ দৃশ্য চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হারবিন শহরের। গেল কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে শহরটি। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, শহরটির অধিকাংশ রাস্তাঘাট, বাড়িঘর তলিয়ে গেছে পানিতে।

স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ জানায়, হারবান শহরের অধিকাংশ এলাকায় ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিবটবর্তী নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।

এদিকে, বন্যার কবল থেকে রেহাই পায়নি চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংজু প্রদেশও। পার্ল নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ায় প্রবল স্রোতে পানি ঢুকে পড়ছে গুয়াংজু ও ফুজিয়ান প্রদেশে। এতে প্লাবিত হয়েছে অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট। তলিয়ে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও উদ্ধারকারী সংস্থার সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুয়াংজু প্রদেশে এরইমধ্যে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। ভারি বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এদিকে, ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাজ্যটির অধিকাংশ জেলায় অব্যাহত রয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। স্থানীয় নদীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে। শহরের প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। ফলে, বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ছোট ছোট ভেলা ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। এমনকি দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও। বন্যার্তদের সহায়তায় এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন