আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
র্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে চীনা বেলুনটি ভূপাতিত করেছে, সেটি মূলত একটি বিশাল আকারের সামরিক সুবিধাসংযুক্ত বিমান নজরদারি কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোয়েন্দা সংকেত শানাক্ত এবং সংগ্রহ করার জন্য সজ্জিত ছিল। বেলুনগুলো ৪০টিরও বেশি দেশকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল বলে মার্কিন ইউ-২ গুপ্তচর বিমানের ছবি উদ্ধৃত করে বাইডেন প্রশাসন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বেলুনের একটি বহর পিপলস লিবারেশন আর্মির নির্দেশে পরিচালিত হয় এবং বিশেষভাবে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহৃত, যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যবস্তু থেকে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের জন্য ডিজাইন করা উচ্চ প্রযুক্তির সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত। পাঁচটি মহাদেশের ওপর দিয়ে একই ধরনের বেলুন চলাচল করেছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার একটি বিবৃতি আটলান্টিক মহাসাগরে গত সপ্তাহান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূপাতিত বেলুনের সঙ্গে চীনের সামরিক বাহিনীকে সংযুক্ত করার সবচেয়ে বিশদ বিবরণ দিয়েছে। এই কর্মসূচির পরিধি ও সক্ষমতা সম্পর্কে জনসাধারণের বিবরণের উদ্দেশ্য ছিল বেলুনটি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল বলে চীনের ক্রমাগত অস্বীকারকে অস্বীকার করা, যার মধ্যে বৃহস্পতিবার দাবি করা হয়েছিল যে, বেলুন সম্পর্কে মার্কিন অভিযোগগুলো তথ্য যুদ্ধের সমতুল্য।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
বেইজিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন তথ্য প্রকাশ করার আগে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং জোর দিয়ে বলেছিলেন, বিশাল মনুষ্যবিহীন বেলুনটি একটি বেসামরিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষক বেলুন।