হোম আন্তর্জাতিক চীনের জনসংখ্যা হ্রাস: বিশ্ব অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ কেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা কমেছে। সম্প্রতি দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত। প্রশ্ন উঠতে পারে: জনসংখ্যা কমে যাওয়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে চীনের অর্থনীতি কি বিপদে পড়বে? কিংবা বিষয়টি বিশ্ব অর্থনীতিতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে?

গত ১৭ জানুয়ারি চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, দেশটিতে বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৮ লাখ। গত বছরের তুলনায় যা ৮ লাখ ৫০ হাজার কম। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে, জন্মহার কমে যাওয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রতি এক হাজারে জন্মহার মাত্র ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

এর আগে ১৯৬১ সালে চীনে কয়েক বছরব্যাপী মহাদুর্ভিক্ষের শেষ বছরে চীনে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। এরপর ৬১ বছর পেরিয়ে ২০২২ সালে এসে দেশটির জনসংখ্যা কমল।

এর কারণ হিসেবে রয়েছে ১৯৮০-র দশকে কঠোর ‘এক সন্তান নীতি’ চালুর সুদূরপ্রসারী প্রভাব (তবে পরে এই নীতি বাতিল করা হয়েছে), চীনা যুবকদের মধ্যে বিয়ে এবং পরিবারের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, লিঙ্গবৈষম্য এবং দেশটির ব্যয়বহুল শহরে শিশুদের লালন-পালনের চ্যালেঞ্জ, বাচ্চা নেয়ার আগ্রহ কমে যাওয়া, বিয়ে ও গর্ভাবস্থায় দেরি এবং গর্ভধারণের উপযুক্ত বয়সের নারীর সংখ্যা কমে যাওয়া ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি জনসংখ্যা কমার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে বিশ্বের অন্যান্য অংশের জন্যও একটি সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ, চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

পাশাপাশি চীনে কর্মক্ষম জনসংখ্যাও কমতির দিকে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের এক-চতুর্থাংশ মানুষের বয়স হবে ৬০ বা তার বেশি। আর তাতে হুমকির মুখে পড়বে দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।

কেন এমন হচ্ছে?

চীনে ‘এক সন্তান নীতি’ অনেক বিতর্কিত বিষয়ের জন্ম দিয়েছে। এই নীতির কারণে জোরপূর্বক গর্ভপাত, মেয়েসন্তানের ভ্রূণ নষ্ট করার প্রবণতাসহ নানান কারণে জন্মহার কমে যায়। প্রায় ৪০ বছর ধরে এ নীতি বহাল ছিল দেশটিতে। হ্রাসমান জন্মহারটি চীনের কয়েক দশকের নীতির ফলাফল, যেই নীতি অনুযায়ী পরিবারগুলো মাত্র একটি সন্তান গ্রহণ করতে পারত।

জন্মহার কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে ২০১৬ সালে নীতিটি থেকে বেরিয়ে আসে চীন। এরপর থেকে দম্পতিরা দুটি সন্তান নিতে পারতেন। ২০২১ সালে চীনের সংশোধিত পরিবার পরিকল্পনা আইন অনুযায়ী, দেশটির দম্পতিরা তিনটি করে সন্তান নিতে পারবেন। দেশটির অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও জনশক্তির কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তারপর থেকে দেশটির সরকার চেষ্টা করছে বিবাহিত দম্পতিদের নানাভাবে সন্তান গ্রহণে উৎসাহী করতে।

চীনে শিশু লালন-পালনের খরচ অনেক বেশি। সন্তান গ্রহণ না করার এটাও একটি বড় কারণ। তা ছাড়া দেশটিতে এখন বেশির ভাগ পরিবার স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না। চাকরি বা কাজকর্মের প্রয়োজনে অহরহ স্থান বদল করতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সন্তান লালন-পালনের জন্য দাদা-দাদির ওপরেও নির্ভর করতে পারেন না দম্পতিরা।

এ ছাড়া নারীরা তাদের বৈবাহিক বা পিতামাতার অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হওয়ার কথাও জানিয়েছেন, যেখানে নিয়োগকর্তারা প্রায়ই মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে অনিচ্ছুক। কিছু শহর এবং প্রদেশ পিতৃত্বকালীন ছুটি এবং ডে-কেয়ার পরিষেবার মতো ব্যবস্থা চালু করতে শুরু করেছে। কিন্তু অনেক নারী বলছেন, এটি প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়।

চীনের অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়তে পারে

দীর্ঘ সময় ধরে চীন ‘এক সন্তান নীতি’ মেনে চলায় তা হিতে বিপরীত হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে তরুণদের তুলনায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। ফলে পাওয়া যাচ্ছে না কর্মক্ষম লোক।

কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে গেলে চীনে শ্রমের দাম বেড়ে যেতে পারে, তার ফলে বাড়তে পারে উৎপাদিত পণ্যের মূল্যও। দেশটির পেনশন তহবিলের ওপরও চাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জনসংখ্যা পতনের প্রভাব পড়তে পারে চীনের বাইরেও।

যেকোনো দেশের অর্থনীতির জন্যই বৃদ্ধ জনগোষ্ঠী বড় একটি চ্যালেঞ্জ। তবে চীনের বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে। আর এটা এমন সময়ে ঘটছে, যখন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার পথে হাঁটছে বেইজিং। ফলে এককথায় বলা যায়, ধনী হওয়ার আগেই বুড়িয়ে যাচ্ছে চীন।

চীনের বয়স্ক লোক এখন জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। চীনা পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে ৬০ বছরে প্রথমবার জনসংখ্যা কমার পাশাপাশি জন্মহারও পৌঁছেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। কিছু গবেষক মনে করেন, জনসংখ্যা কমা শুরু হয় ২০১৮ সাল থেকেই এবং শুমারির হিসাবে ভুল আছে।

জাতিসংঘের হিসাবে, চীনে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের জনসংখ্যা এই শতকের মধ্যে অন্তত আরও ৬০ শতাংশ কমে যাবে। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, সেখানে মজুরি বেড়ে যাবে। ফলে পণ্য তৈরির খরচও বেড়ে যাবে।

এইচএসবিসির প্রধান এশীয় অর্থনীতিবিদ ফ্রেডেরিক নিউম্যান বলেছেন, ‘চীনা অর্থনীতি একটি জটিল রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করছে। শিল্পায়ন এবং প্রবৃদ্ধির জন্য দেশটি প্রতিযোগিতামূলক শ্রমশক্তির ওপর আর নির্ভর করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের সরবরাহ সংকুচিত হতে শুরু করলে অর্থনীতির সম্প্রসারণের প্রধান গতি বজায় রাখার জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে।’

চীনা অর্থনীতি এরই মধ্যে সমস্যায় পড়েছে। ২০২২ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ, যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। পরিসংখ্যান বলছে, এ পতন ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। এর পেছনে দায় দেয়া হচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, তা রোধে নেয়া নানা বিধিনিষেধ এবং আবাসন খাতের ইতিহাসে সর্বাধিক মন্দা পরিস্থিতিকে।

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়তে পারে

চীনে জনসংখ্যা কমে যাওয়া বিশ্বের জন্য কী ধরনের বার্তা দিচ্ছে? আর এর প্রভাবই-বা কী হতে পারে?

জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যা কমে গেলে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি দেখা দেয় সেটি হচ্ছে, সেই দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া।

পপুলেশন ম্যাটারস-এর ক্যাম্পেইন অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান অ্যালিস্টেয়ার কুরি বলেন, বয়স্ক জনসংখ্যা বেড়ে গেলে তাদের পেনশন এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা একদিক থেকে বেড়ে যায়, অন্যদিকে তারা অর্থনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখেন না। কারণ, তারা কোনো ধরনের উৎপাদনমূলক কাজে যুক্ত থাকেন না।

একই কারণে ওই নির্দিষ্ট অর্থনীতে একধরনের স্থবিরতা আসতে পারে। সংকট দেখা দিতে পারে উৎপাদন ব্যবস্থায়ও।

দীর্ঘদিন ধরেই চীনকে ‘বিশ্বের কারখানা’ বলা হয়ে থাকে। শ্রম তুলনামূলক সস্তা হওয়ার কারণে বিভিন্ন দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য উৎপাদনে চীনের শ্রমবাজার ব্যবহার করে আসছে। তবে সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চীনের শ্রমবাজার থেকে সরে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। চীনের জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে এশিয়ার অন্যান্য দেশ ও লাতিন আমেরিকা।

ফলে চীনের জনসংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি করোনা মহামারিতেও দেখা গেছে, চীনের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো বিশ্বে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া চীনের অর্থনীতির ধীরগতি শুধু বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতেই প্রভাব ফেলবে না, এটি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ গত আগস্টে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেছে, ‘চীনের এই জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের প্রভাব সম্ভবত আগামী বিশ থেকে ত্রিশ বছরে দেশটিকে ধীরগতির প্রবৃদ্ধির ফলাফলের দিকে নিয়ে যাবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে।’

এ ছাড়া চীন এ বছরই ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে তার স্থান হারাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ভারতের জনসংখ্যা এবং অর্থনীতি উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ ডেমোগ্রাফিক অধ্যয়নরত ওয়াইই ফুক্সিয়ান টুইটে বলেছেন, ‘ভারত এখানে লাভবান হচ্ছে।’

যদিও ওয়াই বলেছেন, ভারতের অর্থনীতি একদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে, যদিও এটির এখনও দীর্ঘপথ বাকি। ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, তারা গত বছর যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, দেশটি তার বর্ধিত কর্মশক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যথেষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে না। কিছু গবেষক চীনের জনসংখ্যার হার কমাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর মেরি গ্যালাঘের বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ উভয়ের জন্যই কম জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, বরং একটি সুবিধা।’

এই প্রসঙ্গে নাসার একজন জলবায়ু বিজ্ঞানী পিটার কালমাস বলেছেন, জনসংখ্যা হ্রাসকে ‘একটি ভয়ানক জিনিস হিসেবে দেখা উচিত নয়’। এটি বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ঝুঁকি মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

যা করছে চীনা সরকার

চীন সরকার জনসংখ্যা কমা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশটিতে জন্মহার বাড়াতে দেয়া হচ্ছে আর্থিক প্রণোদনা। থেমে নেই লোভনীয় অফারও। কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে তারা।

দেশটির সরকার চেষ্টা করছে বিবাহিত দম্পতিদের নানাভাবে সন্তান গ্রহণে উৎসাহী করতে। এ জন্য দম্পতিদের কর মওকুফ, নগদ অর্থ প্রণোদনা, মাতৃত্বকালীন ছুটির সহজলভ্যতা, আবাসন ভর্তুকি ইত্যাদি নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত বছরের অক্টোবরে দেশের জনসংখ্যা উন্নয়ন কৌশল এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা একটি নীতি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করব যাতে জন্মহার বাড়ানো যায় এবং গর্ভধারণ ও প্রসব, শিশুর লালন-পালন এবং স্কুলে পড়ালেখার খরচ কমিয়ে আনা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বয়স্ক মানুষের জন্য একটি সক্রিয় জাতীয় কৌশল অনুসরণ করব, বয়স্কদের যত্নের কর্মসূচি এবং পরিষেবাগুলো উন্নত এবং একা বসবাসকারী বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য আরও ভালো পরিষেবা নিশ্চিত করব।’

তবে চীন সরকারের এসব উদ্যোগ যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জনসংখ্যাবিদরা। তারা জন্মহার না বাড়ার পেছনে উচ্চশিক্ষায় উচ্চ ব্যয়, কর্মক্ষেত্রে কম মজুরি, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, করোনা মহামারি ও বর্তমান অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থাকেও দায়ী করছেন।

সরকারি পরিসংখ্যানে জনসংখ্যা কমছে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে একটি হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে: ‘সন্তান জন্মদানকে উৎসাহিত করতে, প্রথমে তরুণদের উদ্বেগের বিষয়টি সমাধান করতে হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন