নিজস্ব প্রতিনিধি :
সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন গুনি অভিনেতা ও চলচিত্রের কিংবদন্তী এটি এম শামসুজ্জামান। শনিবার সকালে সুত্রপুরের বাড়িতে তিনি মৃত্যু বরন করেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০বছর। বুধবার তিনি শাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি হন। অতপর তিনি শুক্রবার তিনি বাসায় ফিরে আসেন। তিনি বার্ধক্য জনিত রোগ সহ দীর্ঘযাবৎ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদন জানিয়েছেন, জাতীয় চলচিত্র ফেডারেশন সহ শিল্পি সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ।
এটিএম শামসুজ্জামানের জীবনী ঃ আবু তাহের মোহাম্মদ তথা এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালে নোয়াখালী জেলার দৌলতপুরে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম ছিল মোঃ নুরুজ্জামান। পিতা ছিলেন পেশায় উকিল ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুর হকের রাজনৈতিক সঙ্গী। ১৯৫৬সালে রাজধানীর সুত্রাপুর এলাকার দেবেন্দ্রলেনে ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাড়ি কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেন।
অভিনয় যাত্রা ঃ ১৯৬১সালের উদায়ন চৌধুরীর পরিচালিত “মানুষের অভাব ” ছবিতে সহকারীর পরিচালক হিসাবে বাংলা চলচিত্রে আর্বিভাব ঘটে। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালের জলছবিতে চিত্রনাট্যকার হিসাবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের লাঠিয়াল ছবিতে খলনায়ক হিসাবে প্রথম অভিনয় যাত্রা শুরু করেন তিনি । এ ছবিতে তিনি গ্রামের এক মোড়লের চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রসংশা করেন। তৎকালীন সময় সে ছবি বেশ ব্যাবসা সফল হয়।
১৯৮৮সালে তিনি সর্বপ্রথম জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার লাভ করেন। তার খলচরিত্রে অভিনীত বিখ্যাত চলচিত্র গুলোহল লাঠিয়াল, গোলাপি এখন ট্রেনে বৌরানি, মোল্লা বাড়ির বৌ স্বপ্নের নায়ক ইত্যাদি। তিনি একধারে, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা ছিলেন।
শেষকৃত্য ঃ
আজ শনিবার(২০ফেব্রয়ারি) বাদ-আসরের জানাজা শেষে এটিএম শামসুজ্জামানকে জুরাইন কবরস্থানে তার বড় ছেলে কামরুজ্জামান কবীরের পাশে সমাহিত করা হবে। বিশেষ একটি সুত্র থেকে জানা যায়।
s