মোংলা প্রতিনিধিঃ
ঘূণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মঙ্গলবার বিকাল থেকে মোংলা উপকুলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তবে বাতাসের গতি ছিলনা। নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে।দূর্যোগকালীন সময়ে যে সহযোগিতার জন্য বন্দর জেঠিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের ৮টি যুদ্ধ জাহাজ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার বিষয়ে বলেন, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব এলার্ট জারি করা হয়েছে। এবং বন্দরে যে ১০টি বিদেশী জাহাজের অবস্থান রয়েছে সেগুলোর কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলো নিরাপদে রাখার পাশাপাশি পশুর চ্যানেলের সকল নৌযান গুলো নিরাপদে আবস্থান নিয়েছে।
এছাড়া বন্দর জেটিতে নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের ৮টি যুদ্ধ জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন পরিস্থিত তে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য জাহাজের নাবিকরাও প্রস্তুত রয়েছে। সব মিলিয়ে সকল প্রস্তুতি ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান জানিয়েছেন, এখানকার ৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বহুতল বিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৩টি। এছাড়া জনসাধারণকে সচেতন ও আশ্রয় কেন্দ্রমুখী করতে ১১শ সে¦চ্ছাসেবক কাজ করছে।
এছাড়া পৌর কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের সর্তকবার্তার ব্যাপক প্রচারণা। বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক কন্ট্রোল রুম থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সার্বক্ষনিক গতিবিধির নজর রেখে সকল প্রকার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো: জুলফিকার আলী বলেন, পৌরসভার ডিজিটাল কেন্দ্র হতে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া পৌর এলাকার মধ্যকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ধুুয়ে মুছে পরিস্কারের পাশাপাশি খোলা রাখা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আগতরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে অভ্যন্তরে থাকা প্রায় দুই হাজার জেলে ইতিমধ্যে বনের বিভিন্ন নদী খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া বনের দুর্গম এলাকায় যে সকল বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদেরকে সুবিধাজনক পাশ্ববর্তী অফিস ভবনে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।