হোম আন্তর্জাতিক গোপন বৈঠকে বারদার ও সিআইএ প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

তালেবানের প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারদারের সঙ্গে কাবুলে গোপন বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রধান উইলিয়াম বার্নস।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সোমবার (২৩ আগস্ট) কাবুলে তালেবান নেতার সঙ্গে সিআইএ প্রধান বৈঠক করেন। কাবুল বিমানব্ন্দরে চলমান মার্কিন ও অন্য দেশের নাগরিকদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার মধ্যে এই বৈঠক হলো।

তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর এটিই হবে ইসলামিক গোষ্ঠীটির সঙ্গে আমেরিকান প্রশাসনের প্রথম বৈঠক। তবে বৈঠকে কি হয়েছে তা এখনও জানানো হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের শুরুতে ঘোষণা দেন সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেবেন। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছিল। এরপরও কাবুলে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর দেশটি থেকে সামরিক-বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে আনতে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থায় পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন তালেবানের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে বাইডেন প্রশাসনকে।

মার্কিন গোয়েন্দারা আদতে বুঝতেই পারেননি, তালেবানের শক্তি কতটা। তাদের ধারণা ছিল পুরো আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তালেবানের অন্তত ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। এতে সেনা প্রত্যাহার, আফগানদের নিরাপত্তা ও বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে আনতে যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে মনে করা হলেও, বাস্তবে এমনটা হয়নি।

যেহেতু ধরে নেওয়া হয়েছিল তালেবানের আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে সময় সাপেক্ষ, তাই জরুরি ভিত্তিতে দেশটি থেকে আফগান নাগরিক ও বিদেশিদের সরিয়ে আনার ইচ্ছা কিংবা আগাম পরিকল্পনা, কোনোটাই ছিল না ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের। যার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও অস্ত্রে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে ঢেলে সাজানো হয়েছিল। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র ভেবেছিল, তালেবানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে আফগান সরকারি বাহিনী। এতে রক্তপাতের পথ ছেড়ে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে আলোচনায় বসবে তালেবান। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তার উল্টো। তালেবানের সক্ষমতা টের পেয়ে উল্টো দেশ ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে যান মার্কিন মদদপুষ্ট প্রেসিডেন্ট ঘানি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন