আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। আর গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি এই বর্বরতায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২২ হাজার।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট ২২ হাজার ১৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৭ হাজার। খবর আল জাজিরার।
এদিকে এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলসহ গাজা উপত্যকাজুড়ে বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল, যেখানে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষকে ‘নিরাপদ স্থানে’ সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরাইলের বোমাবর্ষণে গাজায় নিহতদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু। এছাড়া, সামগ্রিকভাবে গত ২৪ ঘন্টায় ইসরাইলের ১৫টি হামলায় ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩৮ জন।
অন্যদিকে, নতুন বছরে পা রাখার আগেই ২০২৪ সালজুড়ে অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ইসরাইল। তবে গাজা থেকে কিছু সংখ্যক সেনা সদস্যকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে সোমবার (১ জানুয়ারি) নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য টেলিগ্রাফসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, যুদ্ধের ‘নতুন পর্যায়’ শুরু হওয়ায় এরই মধ্যে সেনাদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ মুখপাত্র জানান, ৫৫তম ও ১৪তম ব্রিগেডের রিজার্ভ সেনাদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তারা তাদের পরিবারের কাছে ফিরবেন এবং বেসামরিক জীবনযাপন শুরু করবেন।
আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি গাজায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে জানান, ২০২৪ সালজুড়ে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির জন্য কিছু সেনা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।