আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলের নির্বিচার ও বিরামহীন বিমান হামলায় গত এক মাসে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে বেশিরভাগ অধিবাসীই তাদের ঘরবাড়ি ও ভিটেমাটি হারিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, জনসংখ্যার ৭০ শতাংশই এখন উদ্বাস্তু। তারা এখন হয় খোলা আকাশের নিচে নয়ত বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করছে।
ভূমধ্যসাগরপাড়ের এক চিলতে ভূমির নাম গাজা। যা বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র একটি অঞ্চল। এখানে প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বাস। ২০০৭ সালে হামাসের নিয়ন্ত্রণে আসার পরই এর ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল করে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এজন্য একে প্রায়ই ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার’ বলে অভিহিত করা হয়।
এরপর গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। এরপর গত ২২ অক্টোবর থেকে সীমান্ত দিয়ে শুরু হয় স্থল অভিযান। এভাবে গত এক মাস ধরে গাজায় কিভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে তা পুরো বিশ্বই প্রত্যক্ষ করছে। এরই মধ্যে ১০ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৩০ হাজার।
হামলা থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ও ভিটেমাটি ছেড়েছে বা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। হামাসের গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, এরই মধ্যে গাজাবাসীর ৭০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। রিপোর্ট মতে, ২৩ লাখ অধিবাসীর মধ্যে ১৬ লাখই বাড়িঘর ছেড়েছে। তাদের বেশিরভাগই এখন উদ্বাস্তু হিসেবে শরণার্থীশিবির বা আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিয়েছে।
গাজার গণমাধ্যম অফিসের বিবৃতি মতে, ইসরাইলের অনবরত বিমান ও স্থল অভিযানে গাজায় ১০ শতাংশ ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার অর্ধেক হাসপাতাল ও ৬২ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।