হোম অন্যান্যসারাদেশ গলাচিপায় নামের মিল থাকায় নিরপরাধ বৃদ্ধ কারাগারে সাতদিন পরে মুক্তি

গলাচিপায় নামের মিল থাকায় নিরপরাধ বৃদ্ধ কারাগারে সাতদিন পরে মুক্তি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 93 ভিউজ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

একই নাম থাকায় নিরপরাধ ৮০ বছরের বৃদ্ধ হাবিবুর রহমানকে সাত দিন কারাগারে কাটাতে হয়েছে। আদালতের আদেশে রোববার বিকালে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর আগে রোববার বিকালে যুগ্ম ও জেলা জজ আদালতের বিচারক মো: আবুল বাসার আইনজীবীর যুক্তিতর্কের ভিতিত্তে ওই বৃদ্ধকে বেকেসুর খালাস প্রদান করেন। একই সঙ্গে মূল আসামিকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।

গত ৪ অক্টোবর পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার এএসআই আল-আমিন গলাচিপার বনানী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই বৃদ্ধকে আটক করেন। পরে ওই দিনই একটি চেক ডিজঅনার মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।পাশাপাশি অহেতুক এই বৃদ্ধকে হয়রানি করার ঘটনায় ওই পুলিশ র্কমর্কতার বিরুদ্বে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জেলা পুিলশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমানের আইনজীবী মোজাম্মলে হক তপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের অসতর্কতার বিষয়টি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ হাসান ওই এএসআই আল-আমিনকে ক্লোজ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন গলাচিপা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী এসপি মো. ফারুক হোসেন। ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আবু সালেহ জানান, গত ৪ অক্টোবর সাদা পোশাকে গলাচিপা থানার এএসআই আল-আমিন আমার বৃদ্ধ বাবাকে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় কারণ জানতে চাইলে এএসআই আল আমিন জানান, তার বাবাকে কথা বলার জন্য থানায় নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, থানায় নেয়ার পর পুলিশ জানায়- তার বাবার বিরুদ্ধে র্অথ প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি বাবার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে জানালেও পুিলশ তা শুনেননি ।

রোববার আদালতে শুনানি চলাকালে ভুক্তভোগী আদালতে বলেন, ইউনির্ফম ছাড়া এক যুবক পুিলশ পরিচয় দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। বিনা কারণে তাকে হয়রানি করার ঘটনায় জড়িতদের আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা পৌর শহররে মুিজবনগর রোড এলাকার মৃত নূর মোহাম্মাদ মাস্টারের ছেলে থানা সংলগ্ন সদর রোডের ‘নাহার র্গামেন্টস‘র মালিক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ২০১২ সালের ৬ আগস্ট এনজওি থেকে তার ব্যবসা প্িরতষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এ সময় তিনি ব্র্যাকের অনুকূলে উত্তরা ব্যাংক গলাচিপা শাখায় তার নিজস্ব অ্যাকাউন্টের ঋণের সমপরিমাণ অর্থের একটি চেক জমা দেন। কিন্তু মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ওই ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ব্র্যাক র্কতৃপক্ষ হাবিবুর রহমানের জমাকৃত চেকটি ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল ওই ব্যাংকে জমা দিলে তাতে র্পযাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। পরে ব্র্যাক র্কতৃপক্ষ ২ মে ২০১৩ তারিখে তাকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তিনি ঋণ গ্রহণ করেননি র্মমে ১৯ জুন ২০১৩ তারিখে লিখিতভাবে অবহিত করলে তারা ঋণগৃহীতা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন