হোম অন্যান্যসারাদেশ গর্ভবতীসহ আরও তিন জনের মৃত্যু; খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু অর্ধশত ছাড়ালো

গর্ভবতীসহ আরও তিন জনের মৃত্যু; খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু অর্ধশত ছাড়ালো

কর্তৃক
০ মন্তব্য 95 ভিউজ

খুলনা অফিস :
খুলনা বিভাগের দশ জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার তিনজনসহ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। আর এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা চার অংকে পৌছে দাঁড়িয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৮৫ জন। এ সময় সুস্থ্য হয়েছেন ৮৩৫ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৯৯জন, বাকিরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের কোভিট-১৯ কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ মার্চ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন মাসে বিভাগের দশ জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১৯, বাগেরহাটে ৩, যশোরে ৬, ঝিনাইদহে ২, মাগুরায় ২, নড়াইলে ৬, কুষ্টিয়ায় ৬, চুয়াডাঙ্গায় ২জন এবং মেহেরপুরে ৫জন মারা গেছেন।
তবে, খুলনায় শুক্রবার একজন গর্ভবতী নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে খুলনায় জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ এবং বিভাগে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জন।
করোনা সংক্রান্ত বিভাগীয় প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বিভাগের দশ জেলায় ২৬জুন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮৫জন। এর মধ্যে খুলনায় ১৪৪৫, বাগেরহাটে ১৬৬, সাতক্ষীরায় ১৫০, যশোরে ৪৭০, ঝিনাইদহে ১৬৫, মাগুরায় ৯৭, নড়াইলে ১৩৪, কুষ্টিয়ায় ৪৯৭, চুয়াডাঙ্গায় ২০৩জন এবং মেহেরপুরে ৫৮জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা জানান, খুলনা বিভাগে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রকোপও বাড়ছে। এ জন্য তিনি স্বাস্থ্যবিধি না মানাকেই দায়ি করেন। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ভাইরাসের প্রকোপ কমাতে তৎপর থাকলেও মানুষের অসচেতনতায় তা পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আক্রান্তদের শনাক্ত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গর্ভবতীসহ আরও তিন জনের মৃত্যু :
এদিকে, খুলনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন গর্ভবতী নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রুমিছা বেগম (৩২) নামক গর্ভবতী ওই নারী করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এবং শেখ সোহরাব হোসেন (৬০) নামের এক বৃদ্ধ মহানগরীর ২নং জাহিদুর রহমান ক্রস রোড ও দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকার আসাদের মোড়স্থ নিজ বাসায় মতিয়ারা বেগম (৫৫) মারা যান।
মৃত রুমিছা বেগম বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা এবং সোহরাব হোসেন মৃত শেখ ইউসুফ আলীর ছেলে ও মতিয়ারা বেগম দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকার আসাদের মোড়ের আব্বাস উদ্দিনের স্ত্রী।
সোহরাব হোসেনের স্বজন মনিরুল আলম বলেন, সোহরাব হোসেনকে ২৪ জুন খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন রোগী ওই দিন মারা যান এবং ভালো চিকিৎসা না হওয়ায় পরদিন ২৫ জুন তাকে বাসায় নিয়ে আসি। বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা ১১টা দিকে তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, মৃত সোহরাব হোসেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা এলাকায় চাকুরি করতেন। সেখান তার করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় তাকে খুলনায় এনে পরীক্ষা করা হলে ২৩ জুন করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে।
অপরদিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান জানান, গর্ভবর্তী রুমিছা বেগম ২৫ জুন বিকেলে করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি গর্ববতী ছিলেন। যার গর্ভে জমজ সন্তান ছিল বলেও জানান তিনি।
খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকার আসাদের মোড়ের মতিয়ারা বেগম শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন