নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এম. শাহ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামকে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচনী কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। বাজেট বহির্ভুত ৫টি খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তাদেরকে এই শাস্তির আওতায় আনা হয়।
সোমবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির এক সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আইনজীবীদের একাংশ।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আবুল হোসেন (২) বলেন, গত বছরের ৩০ মে তারিখে সাধারণ সভায় ১৪১জন আইনজীবীর দেওয়া একটি অভিযোগপত্র নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। অভিযোগপত্রের বিষয় ছিল,আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামের নেতৃত্বাধীন কমিটি বাজেট বহির্ভূতভাবে ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পানির ফোয়ারা, লিফট নির্মাণসহ ৫টি খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছেন।
তিনি আরও বলেন, পৃথক পৃথক দিনে ৫টি সাধারণ সভা করে ১১২ জন আইনজীবীর মুল্যবান বক্তব্য শ্রবনের পর সোমবার দুপুরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যেহেতু বাজেট বহির্ভূত কাজ, সেহেতু গঠনতন্ত্র বিরোধী, তাই তাদেরকে এ অভিযোগে ৩ বছরের জন্য নির্বাচনী কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ আগামী ৩ বছর তারা বারের কোনো নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবেননা।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. রেজওয়ানউল্লাহ সবুজ বলেন, আগের কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে নির্বাচনী কার্যক্রম নিষিদ্ধের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে এড. এস এম হায়দারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও এড. শফিকুল ইসলাম খোকন, এড. শম্ভুনাথ সিংহ, এড খায়রুল বদিউজ্জামান ও শাহনাজ পারভীন মিলিকে সদস্য করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
তবে আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পর আদালত চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে আইনজীবীদের অপর একটি অংশ। আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনের সামনে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন তারা। এড. আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি এড. এম. শাহ আলম, সাবেক সাধারন সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আইনজীবি সমিতির এই সিদ্ধান্ত এক পেশে। বাজেট বহির্ভূত খরচের কথা বলে সাবেক সভাপতি এড. শাহ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামের বিরুদ্ধে এধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হটকারী।
এ ব্যাপরে জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এম. শাহ আলম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ষড়যন্ত্রমুলক। কাজের অনিয়মের বিষয়ে তারা প্রমাণ দিতে পারছেন না। বাজেটের মধ্যে ৫টি কাজের তালিকা নেই বলে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। আসল বিষয় হলো, উন্নয়নের ৫টি কাজ বাজেটের মধ্যেই ছিল।