হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনা বিভাগে করোনায় প্রাণ গেছে ২২৫ জনের, আক্রান্ত সাড়ে ১২ হাজার

খুলনা বিভাগে করোনায় প্রাণ গেছে ২২৫ জনের, আক্রান্ত সাড়ে ১২ হাজার

কর্তৃক
০ মন্তব্য 74 ভিউজ

খুলনা অফিস :
খুলনায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। খুলনা বিভাগের দশ জেলায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২৫জন। আর পজিটিভের সংখ্যা মোট ১২ হাজার ৪৯৮জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ৩০২জন। সুস্থ্য হয়েছেন ৭ হাজার ৮০৮জন।

এদিকে, বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৪জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০জন। হাসপাতালের ভর্তি হয়েছেন ১৮জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ২৮৪জন। উল্লিখিত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের সূত্র জানায়, গত ১০ মার্চ থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাসে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৪৯৮জন। এ সময় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২৫জন।

এই সূত্র আরও জানায়, বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলা আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে। এ জেলায় মারা গেছেন ৬৯জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪২৬জন। তবে, বিভাগের মেহেরপুর আক্রান্ত ও মৃতের দিক থেকে সর্বনি¤œ স্থানে রয়েছে। এ জেলায় মারা গেছেন ৭জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৮জন।

এছাড়া বাগেরহাটে মৃত ১৫ ও আক্রান্ত ৬৩৪জন, সাতক্ষীরায় মৃত ২২ ও আক্রান্ত ৭৫৬জন, যশোরে মৃত ২৯ ও আক্রান্ত ১ হাজার ৯০৩জন, ঝিনাইদহে মৃত ১৭ ও আক্রান্ত ৯৮৭জন, মাগুরায় মৃত ৮ ও আক্রান্ত ৪৬৮জন, নড়াইলে মৃত ১২ ও আক্রান্ত ৮০৩জন, কুষ্টিয়ায় মৃত ৩৫ ও আক্রান্ত ১ হাজার ৬৭৫জন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় মারা গেছেন ১১জন ও আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৮জন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, খুলনা বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ্যও হচ্ছেন রোগীরা। এ পর্যন্ত বিভাগে ৭ হাজার ৮০৮জন রোগী সুস্থ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, দ্রত পরীক্ষার জন্য অধিকহারে নমুনা সংগ্রহের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ যত বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হবে, তত দ্রæতই রোগী শনাক্ত করা যাবে এবং চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, খুলনায় বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। এর কারণ হিসেবে তিনি মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ি করেন। তিনি আরও বলেন, অনেকেই করোনার উপসর্গ লুকিয়ে রাখছেন, ফলে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। এতে করে তার মাধ্যমে সংক্রমণ বাড়ছে। এছাড়া ঈদের সময় বহিরাগতদের আনাগোনার ফলেও আরও বাড়ার আশংকা রয়েছে। যেমনটা হয়েছিল ঈদুল ফিতরের পরবর্তী সময়ে। তবে, মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হলে সংক্রমণের হার কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন