হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনার সরকারি গুদামে চালের মজুদ উল্লেখযোগ্যহারে কমছে

খুলনার সরকারি গুদামে চালের মজুদ উল্লেখযোগ্যহারে কমছে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 84 ভিউজ

খুলনা অফিস :

আমন ধানের চাল বাজারে আসতে এখনও তিন সপ্তাহ বাকি। রাইস মিলগুলোতে মোটা ধানের মজুদ ফুরিয়ে এসেছে।সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত বাহিনীর জন্য ৬শ’ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করতে হচ্ছে। মাসে ওএমএস’র ৫২০ মেট্রিক টন চাল বিক্রি হচ্ছে। জেলার দ’ুটি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম সহ ৮টি উপজেলা পর্যায়ে গুদামে গতকাল রোববার ৪টা পর্যন্ত চালের মজুদ ২৪ হাজার ১৬৩ মেট্রিক টন। গতবছর এ সময় খাদ্য গুদামে চালের মজুদ ছিল ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এঅবস্থায় খুলনার বাজারে চালের দাম বেড়েই চলেছে।

গত আগষ্ট মাস থেকে মোটা ও চিকন চালের মূল্য ওঠানামা করছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী আগস্ট মাসে প্রতি কেজি মোটা চালের মূল্য ৪১/৪২ টাকা, মাঝারি চাল ৫১/৫২ টাকা এবং চিকন চাল ৬০/৬২ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে মোটা চাল ৪০/৪২ টাকা, মাঝারি ৫০/৫২ টাকা ও চিকন ৬২/৬৪ টাকা, অক্টোবর মাসে চিকন চাল ৪২/৪৩ টাকা, মাঝারি ৫২/৫৩ টাকা ও চিকন চাল ৫৭/৫৮ টাকা দরে বিক্রি হয়। কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় মোটা ও মাঝারি চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকন চালের মূল্য স্থীতিশীল।
জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো ১৩ অক্টোবরের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় মোটা চাল কেজি প্রতি ২ টাকা বৃদ্ধি অর্থাৎ ৪৩/৪৪ টাকার স্থলে ৪৪/৪৬ টাকায়, ম্ঝাারি চাল ৪৮/৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। চিকন চাল ৫৬/৬০ টাকা দরে স্থীতিশীল রয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, গতকাল রোববার পর্যন্ত খুলনা,মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম ও ৮টি উপজেলা পর্যায়ের গুদামে ২৪ হাজার ১৬৩ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। প্রতি মাসে আনসার,বিজিবি,সোনাবাহিনী,পুলিশ,ফায়ারব্রিগেড ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ৬শ’ মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়। খুলনা নগরীর ২০টি পয়েন্টে ৫২০ মেট্রিক টন ওএমএস’র চাল বিক্রি হয়। ১৫ নভেম্বর নাগাদ আমন কাটা শুরু হবে।এ চাল বাজারে আসতে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। নভেম্বর থেকে সরকারি আমন সংগ্রহ শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের সরকারি মূল্য ২৬ টাকা,আতপ চাল প্রতি কেজি ৩৬ টাকা ও সিদ্ধ চাল ৩৭ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অপর এক সূত্র জানান, খোলা বাজারের চেয়ে সরকার নির্ধারিত কম মূল্যে কৃষক ও মিল মালিকরা বিগত বছরগুলোতে চাল ও ধান বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করে।
এদিকে লোকসান গুনেই সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রি করছেন মিল মালিকরা। খুলনার চালকল মালিকদের অভিযোগ,মিল পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করার আগে ধানের দাম নির্ধারণ করা দরকার। যে ধান আমরা ৮৫০ টাকা বস্তা কিনতাম এখন তা ১২শ’ টাকা বস্তা কিনতে হচ্ছে। ফলে সরকার নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি করলে আমরা লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন