হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনার নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়নে বড়বাজারের মাছ-মাংস এবং ফলের দোকান সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানান্তর

খুলনার নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়নে বড়বাজারের মাছ-মাংস এবং ফলের দোকান সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানান্তর

কর্তৃক
০ মন্তব্য 152 ভিউজ

খুলনা অফিস :

খুলনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরাপদ সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব ফলপ্রসূভাবে কার্যকর করার জন্য নগরীর প্রধান পাইকারী আড়ৎ ‘বড়বাজার’ ও ‘বয়রা বাজার’-এর কাঁচামাল শাক-সবজি, মাছ-মাংস এবং ফলের দোকানের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বড়বাজারের কাঁচামাল, মাছ-মাংস এবং ফলের দোকান খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এছাড়া নগরীর বয়রা বাজারের কাচা বাজার এবং মাছ-মাংশের দোকানগুলো হাজী ফয়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জনসাধারণকে নতুন নির্ধারিত স্থানসমূহ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কেনার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসন থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।

শনিবার দুপুরে সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানান্তরিত বাজার পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো; ইউসুফ আলী, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সবাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনা মহানগরীর প্রধান প্রধান বাজারগুলোতে প্রতিদিন সাধারন মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কেনার জন্য অধিকমাত্রায় লোক সমাগম হওয়াতে সামাজিক নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এটি করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে কিছুটা বিঘিœত হওয়া আশংকায় সিটি মেয়র,, চেম্বার নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বড় বড় বাজারগুলি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই খুলনার প্রধান পাইকারী বাজার থেকে কাচা মালামার সাকসজ্বি, মাছ-মাংস এবং ফলের দোকান সার্কিট হাউজ মাঠে এবং বয়রা এলাকার পাইকারী বাজার হাজী ফয়েজ উদ্দিন স্কুল মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। নগরীর জনসাধারনকে পরিবর্তিত নির্দিষ্ট স্থান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটার জন আহবান জানানো হয়েছে। সবাই সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তাদের জিনিসপত্র কিনতে পারবেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, আগামী ২/৩দিনের মধ্যে নিউ মার্কেট ও খালিশপুর পাইকারী বাজারও খোলা স্থানে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া জেলার ৯টি উপজেলার প্রধান প্রধান বাজারগুলি স্কুল, কলেজ বা খোরা মাঠে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। এরমধ্য দিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কার্যকম পরিচালিত হলে করোনা প্রতিরোধে অনেকটা সফল সম্ভব বলে প্রত্যাশা জেলা প্রশাসকের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন