হোম অন্যান্যসারাদেশ খুলনার ডুমুরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থান আড়াল করে দোকান নির্মান কাজ বন্ধ হওয়ায় সন্তোষ: সংরক্ষণের উদ্যোগ নিবেন স্থানীয় এমপি

খুলনার ডুমুরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থান আড়াল করে দোকান নির্মান কাজ বন্ধ হওয়ায় সন্তোষ: সংরক্ষণের উদ্যোগ নিবেন স্থানীয় এমপি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 108 ভিউজ

 খুলনা অফিস:

১৯৭০ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর দিব্যপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দিয়েছিলেন। এই ঘটনাটি অনেকেরই অজানা। এমন কি নতুন প্রজন্ম বিষয়টি সম্পর্কে ধারনাও নেই। আবার ওই সভায় অনেকেই উপস্থিত থেকে ভাষণ শুনেছেন।

বঙ্গবন্ধু নেতা-কর্মীদের অনেককে পিঠে হাত রেখে রাজনীতিতে উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানা যায়। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি আড়াল করে বিধি বহির্ভূতভাবে স্থাপনা নির্মান করায় ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ক্ষুব্ধতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গত বুধবার স্থাপনাটি গুড়িয়ে দেয়া হয়। জানানো হয় প্রশাসনকে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডাঃ সঞ্জিব কুমার দাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায় খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা মিলনস্থান চুকনগর। সেই চুকগরের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিব্যপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের মাঠে ১৯৫৩ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণে স্থাপিত হয় একটি শহীদ মিনার। যতদুর জানা যায় এই শহীদ মিনারটিই ডুমুরিয়া উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত সর্ব প্রথম শহীদ মিনার। ১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যশোর হয়ে সাতক্ষীরায় যাওয়ার পথে ওই শহীদ মিনারের পাশে একটি ছোট মঞ্চে দাড়িয়ে ভাষন দিয়েছিলেন।

যেখানে খুুলনার ডুমুরিয়া,সাতক্ষীরার তালা, যশোরের কেশবপুর,মনিরামপুর এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা উপস্হিত ছিলেন। এ বিষয়ে চুকনগর গণহত্যা স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষনে যশোর জেলার কেশবপুর, সাতক্ষীরা জেলার তালা, খুলনার ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুর ভাষন শোনেন। সেই শহীদ মিনারটির কোন সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনে আজও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরে এসে সেটি আড়াল করে স্থাপনা নির্মান করা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির উপর চরম আঘাত। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী শিক্ষাবিদ নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, চুকনগর দিব্য পল্লী স্কুল মাঠে জাতির পিতার দেয়া ভাষন নিজে উপস্থিত থেকে শুনেছি। আমি বঙ্গবন্ধুর পাশে গিয়ে দাড়িয়ে তাঁর সাথে কথা বলেছিলাম।

তিনি আমার পরিচয় পেয়ে বলেছিলেন এত কম বয়সে প্রধান শিক্ষক। ভাল করে শিক্ষকতা ও রাজনীতি কর। অনেকদুর এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর সেই কথা শুনে আমি ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রাণিত হই । তাঁর মুখের কথা ও নির্দেশনা আমার রাজনৈতিক জীবনে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, চুকনগর দিব্যপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের কতিপয় ব্যক্তির হটকারি সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানটি সংরক্ষন করে তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেয়া হবে কোন স্থাপনা নির্মান করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ও নকশা নিয়েই করতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন