বাণিজ্য ডেস্ক:
সুনামগঞ্জে অধিক মুনাফার আশায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা বসত ঘরে খাটের নিচে পেঁয়াজ মজুত করে রাখছেন। এ কারণে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পেঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছিল প্রশাসন। সেই সভায় প্রশাসন পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীরাও পাইকারিতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে এই বিশেষ সভা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান। যারা আগের কেনা পেঁয়াজ উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন জেলা প্রশাসক।
জেলার কতিপয় পাইকারি ব্যবসায়ী হুট করে পেঁয়াজের মজুত করে দাম বাড়িয়ে অস্বাভাবিক মুনাফা করেছেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। তারা বসত ঘরে খাটের নিচে পেঁয়াজ মজুত করে রাখছে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কোন কারণ ছাড়াই প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০/৮০ টাকা লাভে বিক্রি করছেন।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ পেঁয়াজ সীমান্ত এলাকায় থেকে আসে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর ভারতীয় পেঁয়াজের পাইকারি দাম বেড়ে গেছে।
সুনামগঞ্জে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে বিশেষ সভা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী। ছবি: সময় সংবাদ
তবে স্থানীয় পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন পেঁয়াজ বাজারে ওঠা শুরু হয়েছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তখন প্রতিকেজি পাইকারি ১১০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবেন।
সভায় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিজন কুমার সিংহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ বিন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম খান, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হাসান, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এনামুল হক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সভাপতি আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল জানান, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানানো হয়। সেই সঙ্গে সরকারের বেঁধে দেয়া দাম অনুযায়ী পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। কেউ যদি বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।