জাতীয় ডেস্ক:
কোরবানির পশুর চামড়ার বর্জ্যে যাচ্ছেতাই অবস্থা সাভারের পরিকল্পিত চামড়া নগরীর। মহাসমারোহে সীমানা প্রাচীরের বাইরে প্রকাশ্যেই ধলেশ্বরী নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে কান-শিং, লেজ, মাথার চামড়াসহ উচ্ছিষ্টাংশ। স্থানীয়রা জানান, এই শিল্প নগরী ও পরিবেশ সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা বিসিকের নির্দেশেই চলছে পরিবেশ দূষণের এই কর্মযজ্ঞ।
ট্যানারিগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ওয়েট ব্লুর মাধ্যমে কোরবানির পশুর চামড়া স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের কাজ। সেই সঙ্গে চলছে উচ্ছিষ্টাংশ সরিয়ে ফেলার কাজ।
ট্যানারির শ্রমিকরা জানান, চামড়ার সঙ্গে থাকা ময়লা ও আর্বজনাগুলো পরিষ্কার-পরিছন্ন করা হচ্ছে। এরপর স্থায়ীভাবে চামড়াগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
তবে আলাদা করা পশুর এইসব বর্জ্য কোথায় যাচ্ছে; তার উত্তর খুঁজতে একটি ময়লা বহনকারী ট্রলি অনুসরণ করতেই দেখা যায়, উচ্ছিষ্টাংশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিল্প এলাকার সীমানার বাইরে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে। তারপর সেসব ফেলা হচ্ছে নদীতে। আর বর্জ্য ফেলার জন্য নির্ধারিত জায়গার গেটে ঝুলছে তালা।
ট্যানারির কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিসিকের নির্দেশেই এসব কঠিন বর্জ্য এখানে ফেলা হচ্ছে। তারা জানায়, ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার রাস্তা নেই। এজন্য এই শিল্প এলাকা নিয়ন্ত্রণকারীদের নির্দেশেই ধলেশ্বরীর পাড়ে ফেলা হচ্ছে ময়লা।
বিসিকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা মেলে ট্যানারির এক নিরাপত্তা রক্ষীর সঙ্গে বিসিকের এক ব্যক্তির ফোনালাপে। নিরাপত্তা রক্ষী ফোনে প্রতিবাদ জানিয়ে বিসিকের কর্মকর্তাকে জানান, গরুর বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ট্যানারির পেছনে। এ বিষয়ে বিসিকের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তবে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলার কারণে বিসিকের পক্ষ থেকে শাসানো হয়েছে বলেও জানান ওই নিরাপত্তা কর্মী।
উল্লেখ্য, বিসিকের পক্ষ থেকে ময়লা ফেলার জন্য নতুন করে একটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সেখানে ময়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি।