হোম খুলনাযশোর কেশবপুর নদী-খাল খনন, টিআরএম বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে কৃষক সংগ্রাম সমিতির স্মারকলিপি  

কেশবপুর নদী-খাল খনন, টিআরএম বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে কৃষক সংগ্রাম সমিতির স্মারকলিপি  

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 14 ভিউজ
জয়দেব চক্রবর্তী:
যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী-খাল পুণঃখনন, টিআরএম বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি কেশবপুর শাখার পক্ষ থেকে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভূ-পুষ্ঠের পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কেশবপুরে অকাল জলাবদ্ধতা, লবনাক্ততা, আর্সেনিক দূষণ তথা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। বার বার আবেদন নিবেদন করার পরও কৃষি উপকরণের মূল্য বেড়েই চলেছে। এতে কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। সরকার ২০১৯ সালে মৎস্য ঘের নীতিমালা ঘোষণা করার পরও অপরিকল্পিত মাছের ঘেরসহ অবকাঠামো নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। ফলে মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষি ভিত্তিক শিল্প-কারখানা রক্ষায় সরকারের উদাসীনতার কারণে জাতীয় সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাবে বেকারত্ব ও ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পুঁজিবাদি ও সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থা ও তার দোসরদের নির্মম শোষনের স্বার্থে পরিবেশ বিধ্বংসী উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলের নদ-নদী সমূহের ওপর অসংখ্য অপরিকল্পিত ব্রিজ, কালর্ভাট নির্মাণ ছাড়াও সামরিক-বেসামরিক তথা সরকারি স্থাপণা ও ব্যক্তিগত স্থাপণা নির্মাণ, নদীর জমি দখল, নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ নদীর গতিপথ রুদ্ধ করার প্রভাবে এ অঞ্চলের নদ-নদীগুলো নাব্যতা হারিয়েছে। এরসাথে তালমিলিয়ে পাউবোর ভবদহ স্লুইস গেট, অসংখ্য পোল্ডার, অপরিকল্পিত মাছের ঘের, নদীকে প্লাবন ভূমি থেকে বঞ্চিত করায় নদী পলিতে ভরাট হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ওয়াপদা বাঁধের কারণে নদীর ভাটির অংশ ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এঅবস্থায় নদীর নাব্যতা ও ভূমি গঠন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করার জন্যে প্রাকৃতিক নিয়ম কার্যকরী করা দরকার। কিন্তু ৮০’র দশকের পর এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কোনো সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেনি। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে পাউবো অদ্যাবধি যত প্রকল্প গ্রহণ করেছে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এখনই কপোতাক্ষ, শ্রী, হরি, হরিহর, অপারভদ্রা, বুড়িভদ্রানদী খননসহ বিল ডাকাতিয়ার সাথে সংযোগ পুণঃস্থাপণ করতে হবে। পানি সেচে নদী-খাল খনন ও টিআরএম বাস্তবায়ন করতে হবে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি কেশবপুর শাখার সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক তহিদুর রহমান, পরিতোষ দেবনাথ, আশুতোষ বিশ্বাস প্রমুখ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন নেতৃবৃন্দকে জানান, আপনাদের দাবি যৌতিক। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন