জয়দেব চক্রবর্তী:
যশোরের কেশবপুরের দূর্দশার এক নাম ২৭ বিল পানি নিষ্কাশন ও আট ব্যান্ড স্লুইস গেট সংষ্কার। দীর্ঘ দিন ধরে সাতটাই বিল ও পাশ্ববর্তী গ্রাম গুলো অকাল পানিবদ্ধতার শিকার হয়ে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও লুটপাট আর চেটে পুটে খাওয়ার প্রবণতার কারনে দূর্দশা কমেনি।
কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ২৭ গ্রামের দু লক্ষাধিক মানুষ আজ সীমাহীন দুঃখ কষ্টে বেঁচে আছে। কৃষকদের দূর্দশা লাঘব করতে বিল সমুহের জমির মালিক ও বিল অভ্যন্তরের মাছের ঘের মালিক দের ২৭ বিল(বিল খুকশিয়া) সেচ ওপানি নিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন হয়। গতকাল সোমবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায় সেচকাজ বাস্তবায়নে স্থায়ী পাওয়ার ষ্টেশনের ভবন নির্মাণ ও পানি সেচের ড্রেণ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিল খুকশিয়া এইট ব্যান্ড স্লুইস গেটের মুখের পলি অপসারণ শুধু নয় মৃত প্রায় খাল খনন করে হরিনদীর সাথে সংযোগের কাজ সম্পন্নের পথে। আটটি গেট থাকলেও ২ টি গেট সম্পুর্ন অকেজো হয়ে আছে। ড্রেজার ও এস্কোভেটর পলি ও জমে থাকা মাটি খননে নিয়োজিত আছে।
পানি নিষ্কাশন ও সেচ কমিটির আহ্বায়ক পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, ১০ হাজার ৫ শ হেক্টর জমি দীর্ঘ দিন ধরে অনাবাদী রয়েছে। জমির মালিক কৃষক ও মাছের ঘের মালিক দের যোগিতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার ব্যায় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি টাকা। সরকারি ভাবে সহয়তা পেলে ২৭ বিল অববাহিকার দুই লাখ মানুষের দূর্ভোগ কমবে। এ প্রকল্পে কাজ শেষ হলে ৮ হাজার হেক্টর জমি ইরি বোরো আবাদযোগ্য হবে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে পানিনিষ্কাশন কার্যক্রম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুফলাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জি এম মহিউদ্দিন, ঘের মালিক মনিরুজ্জামান মনি,এম এ হালিম, মাহমুদুল হাসান, ওজিয়ার রহমান বিশ্বাস, আব্দুল গফুর, মতিয়ার সরদার, মো শহিদ, মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল গালিব সহ কৃষকরা। কমিটির অন্যতম সদস্য জি এম মহিউদ্দিন বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ও ঘের মালিক দের সহায়তার পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।