পরেশ দেবনাথ:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নে “সমঝোতা ও সংলাপের মাধ্যমে দেশ গঠন” শীর্ষক এক শান্তি ও সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ পরিচালিত এবং এফসিডিও’র অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি (MIPS) প্রকল্পের আওতায় এই সভার আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে-২৫) শান্তি ও সম্প্রীতি সভায় পিস ফ্যাসিলিটেশন গ্রুপের (পিএফজি) সমন্বয়কারী অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম-এর সভাপতিত্ব মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন, এমআইপিএস প্রকল্পের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মোঃ খোরশেদ আলম এবং ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মোঃ আশরাফুজ্জামান।
সভায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব, যুব সমাজের ভূমিকা, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং রাজনৈতিক মূল্যবোধের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, সমাজে সংঘাতের মূল কারণ হচ্ছে, নৈতিক অবক্ষয় ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব। তারা মাদক, বিভ্রান্তিকর বার্তা, পারিবারিক বন্ধনের দুর্বলতা এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার দিকগুলো চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জিয়ারখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজাহান আলি, সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজান আলি শেখ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রেজা, প্রাক্তন শিক্ষক সামছুদ্দিন মাস্টার, প্রধান শিক্ষক মুসলিমা শারমিন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মওলানা নজরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আশরাফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আবু জাফর সরকার, জামায়াতের যুব সেক্রেটারি মোঃ আমানুর ইসলাম সবুজ, পিএফজি সদস্য মোঃ শরিফুজ্জামান, মোঃ এসরারুল হক, মোঃ মনোয়ার হোসেন, রুখসানা পারভিন, মোঃ সবুজ হোসেন, গোলাম মওলা, রুবাইয়াত জাহান এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি।
বক্তারা পারিবারিক পর্যায়ে নিয়মিত আলোচনা ও নৈতিক শিক্ষা প্রদানের গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা বলেন, সমাজ পরিবর্তনে যুব সমাজের ইতিবাচক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সভা শেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।