হোম অন্যান্যসারাদেশ কিশোরগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রতিরোধমূলক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রতিরোধমূলক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 106 ভিউজ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আজ ১২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন কিশোরগঞ্জ এর আয়োজনে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে “জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি প্রতিরোধমূলক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ সায়েদুর রহমান খান, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কিশোরগঞ্জ; মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), পুলিশ সুপার কিশোরগঞ্জ; কিরণ শংকর হালদার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ; নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ কিশোরগঞ্জ, জনাব মোঃ সোলায়মান; জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ কিশোরগঞ্জ, জনাব মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।
সভায় গত ৫ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে কুষ্টিয়ায় রাতের আঁধারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীণ ভাস্কর্য কতিপয় রাষ্ট্রদ্রোহী দুর্বৃত্ত কর্তৃক ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফোরামের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়। এছাড়াও বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, যে নামটি বাংলাদেশের সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সকল শ্রেণি-পেশা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর বাঙ্গালী জাতি মহান মুক্তিযু্দ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এদেশের স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে আনে।
বাংলাদেশ তথা বাঙ্গালী জাতির অস্তিত্বের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুই ছিলেন পথ প্রদর্শক, আলোর দিশারী ও সার্বজনীন নেতা। বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম তাই অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে তৎকালীন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সদ্য- স্বধীন রাষ্ট্রকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি কিশোরগঞ্জ জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বঙ্গবন্ধু আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- এগিয়ে যেতে হবে আরও অনেক দূর। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে, শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে, প্রকৃত দেশপ্রেম নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। সেটাই হবে জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন