হোম জাতীয় কিশোরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্ধশত ঘরে তালা

জাতীয় ডেস্ক:

কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকছেন না উপকারভোগীরা। কটিয়াদীতে বছরের পর বছর তালাবদ্ধ ৫০টিরও বেশি ঘর। এদিকে, আবেদন করেও বরাদ্দ না পাওয়ার অভিযোগ অনেকের। ১১টি ঘর চিহ্নিত করে বরাদ্দ বাতিল করেছে প্রশাসন। বাকিদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের আড়িয়ালখাঁ নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে গৃহহীন মানুষের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প। তবে বরাদ্দকৃত ঘরে থাকছে না উপকারভোগীরা।

বিশুদ্ধ খাবার পানি, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশনসহ রয়েছে সব সুযোগ-সুবিধা। তবুও বছরের পর বছর তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে এসব ঘর।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘরের মালিকদের অনেকেই একদিনের জন্যও প্রকল্পে আসেননি। অপরদিকে আবেদন করেও বরাদ্দ না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে অন্যের ঘরে বসবাস করছেন অনেকে।

এলাকার বাসিন্দা এবং প্রকল্পের বাসিন্দারা জানান, এখানে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘর বরাদ্দে অনিয়ম হয়েছে।

প্রকল্পের বাসিন্দা মরিয়ম আক্তার জানান, ওই প্রকল্পে সরকারি নিয়ম অমান্য করে মা ও মেয়েকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঘর পেয়েছেন কাঞ্চন মালা ও তার মেয়ে আয়শা। তাদের নামে বরাদ্দ দেয়া ১৫ ও ৪ নম্বর ঘরগুলো দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ। ৫৫ নম্বর ঘরের মালিক মিনা বেগম মালয়েশিয়ায় আছেন। ৭ নম্বর ঘরের মালিক গটিহাটা গ্রামের মুর্শিদ মিয়া এখানে থাকেন না। তাদের মতো অন্তত ৫০টি ঘরের মালিকরা এখানে থাকেন না। তালাবদ্ধ তাদের ঘরগুলো।

এদিকে বরাদ্দ পাওয়ার পরও প্রকল্পে না আসায় ১১টি ঘর চিহ্নিত করে বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, ‘যাদের নামে সরকার ঘর বরাদ্দ দিয়েছে তারা এখানে থাকার কথা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে অন্তত ৫০টি ঘরের মালিকরা নিয়মিত এখানে থাকেন না। জেলার সবচেয়ে বড় এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পেয়েও দীর্ঘদিন কেন ঘরে থাকছেন না সুবিধাভোগীরা সেটি খতিয়ে দেখছে উপজেলা প্রশাসন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বরাদ্দ পাওয়ার পর এক দিনের জন্য প্রকল্পে আসেন নি এমন ১১টি ঘর চিহ্নিত করে বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এসব ঘর নতুন করে গৃহহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।’

কিশোরগঞ্জে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ১৯২০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন