আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতার সমর্থনে কথা বলেছেন, এই অভিযোগে ২০১০ সালের একটি মামলায় ভারতের সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায় ও কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। এই মামলায় অরুন্ধতী রায়ের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, ২০১০ সালে দিল্লিতে এক জনসভায় কাশ্মির ইস্যুতে উসকানিমূলক ভাষণ দেয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। ওই বছরই তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। দায়ের করেন সুশীল পণ্ডিত ও কাশ্মিরি পণ্ডিতদের সংগঠন– রুটস ইন কাশ্মির।
তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩বি ও ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারার অধীনে এ ধরনের বিচারের জন্য রাষ্ট্রের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। ভারতীয় বিধিতে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) অধীনে বেআইনি কার্যক্রমে সমর্থন, উৎসাহ বা উসকানি দেওয়া সাত বছর পর্যন্ত কারাবাসের শাস্তিযোগ্য।
অরুন্ধতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘আজাদি: দ্য অনলি ওয়ে’ নামের ওই অনুষ্ঠানে কাশ্মিরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘কাশ্মির কোনোদিনই ভারতের অংশ ছিল না। তাকে জোর করে সেনা পাঠিয়ে দখল করা হয়েছিল। কাশ্মিরকে তার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়া উচিত।’ সব মিলিয়ে ভাষণগুলো উসকানিমূলক ছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে, অরুন্ধতী রায়ের লেখা ‘আজাদি: ফ্রিডম, ফ্যাসিজম, ফিকশন’এর ফরাসি অনুবাদ ৪৫তম ‘প্রি অয়রোপিন দ্য লেসাই’ পুরস্কার পেয়েছে। ভারতীয় লেখকদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কারে ভূষিত হলেন। জুরি এক বিবৃতিতে জানায়, প্রবন্ধকে হাতিয়ার করে লড়েছেন অরুন্ধতী রায়। আজকের দুনিয়ায় অন্যতম বড় সমস্যা ফ্যাসিজমের স্বরূপ উদ্ঘাটন করেছেন নানা স্তরে। বহু মানুষের কাছে তার প্রবন্ধগুলো আশ্রয়ের মতো।
১৯৯৭ সালে ‘দ্য গড অব স্মল থিংস’ বইটির জন্য বুকার পুরস্কার লাভ করেন অরুন্ধতী রায়। প্রথম ভারতীয় নারী লেখক হিসেবে এ পুরস্কারে ভূষিত হয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান তিনি।