কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
দুই দিনে অতি বর্ষণে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পড়ায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে কালীগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। বিশেষ করে পুকুর, মৎস্য ঘের, সবজি ক্ষেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ। অতি বর্ষণের ফলে এলাকার অধিকাংশ বাড়ি ঘর উঠানে পানি উঠে গেছে। গ্রাম্য এলাকায় রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলাকার মানুষ বলছে এরকম বর্ষা খুব কম দেখেছি। গত দু’দিন ধরে প্রায় ২০ ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে ফলে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তুমুল বর্ষণে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে মোবাইল ফোনের মধ্যে অবগত করলে তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে বুধবার সকাল ১০টায় কালীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রাম রহিমপুর ঈদগাহ এলাকায় ও বিশের মার্কেটের সড়ক ও জনপথের রাস্তার কালভার্ট এর মুখ আটকানোর ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
মার্কেটের মালিক রফিকুল ইসলাম কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু সহ এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলামের উপর দায়িত্ব দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও লেবার দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও কালভার্ট এর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণএ কাজ করেন উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় মৎস্য ঘেরের পানি নিষ্কাশনের পথে নেট পাটা দিয়ে একশ্রেণীর ব্যক্তি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নেট পাটা অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেন যত দ্রুত সম্ভব জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
তিনি জানান যাদের বিরুদ্ধে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির জন্য অভিযোগ পাওয়া যাবে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কালীগঞ্জের স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিজেদের বাড়ীর পানি সরানোর জন্য ব্যক্তিগত ড্রেন নির্মান করার ফলে অতি বর্ষনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে থানা জামে মসজিদ যাওয়ার রাস্তা অতি বর্ষনে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় মুসল্লিদের মসজিদে যেতে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া কালীগঞ্জ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উপজেলা পোষ্ট অফিস, কুশুলিয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সচেতন মহল জলাবদ্ধতা নিরাশনে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।