হোম অর্থ ও বাণিজ্য কালবৈশাখি ঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আধা পাকা ধান

বাণিজ্য ডেস্ক :

কালবৈশাখি ঝড় ও বৃষ্টিতে নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকার মাঠগুলোয় আধা পাকা ধান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এরই মধ্যে ধান ৭৫ ভাগ পেকে গেলে তা কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সপ্তাহখানেক পরই পাকা ধান কেটে ঘরে তুলবেন–এমন স্বপ্ন বুনছিলেন দেশের বরেন্দ্র জনপদ নওগাঁর রাম ভদ্রপুরের কৃষকরা। কিন্তু কালবৈশাখির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সোনালি স্বপ্ন।

নওগাঁর মহাদেবপুর, মান্দা, পত্নীতলা, আত্রাই ও সদর উপজেলায় বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এরই মধ্যে দিশেহারা কৃষক যেসব ক্ষেত অক্ষত রয়েছে, তা থেকে বাড়তি খরচে আধা পাকা ধান কেটে নিচ্ছেন।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, ধান কাটার ৪-৫ দিন আগেই ঝড়ে ধানগাছ পড়ে যাওয়ায় আমাদের ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে যে ধানগুলো পড়ে গেছে, সেগুলো চিটা হয়ে যাচ্ছে।

ঝড়ে পড়ে যাওয়া ধান কাটতে দ্বিগুণ ব্যয় হওয়ার বিষয়ে কৃষকরা বলেন, ধান কাটতে সাধারণত ৩ হাজার টাকা লাগত। তবে ঝড়ের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় আমাদের ৬ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।

এদিকে আপৎকালীন দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে ৭৫ ভাগ পেকে যাওয়া ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ।

তিনি বলেন, ‘আরও ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, তাই যেসব ধান পেকে গেছে, সেগুলো দ্রুত কেটে ঘরে তোলার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। সেই সঙ্গে যেসব জমিতে পানি বেধে আছে, সেসব জমির পানি বের করে দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে, যেন জমি শুকিয়ে যায় এবং আমাদের পাকা ধানের ক্ষতি কম হয়।’

উল্লেখ্য, কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ঝড়ে প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন