হোম অর্থ ও বাণিজ্য কাঁচাবাজারে আগুন, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

বাণিজ্য ডেস্ক :

নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিনই বাজারে যেতে হয় রাজধানীবাসীকে। তবে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড়ে ক্রেতার আনাগোনা। চাহিদা মেটানোর প্রস্তুতি থাকে বিক্রেতাদেরও।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মালিবাগ কাঁচাবাজারে দোকান সাজিয়ে বসা বিক্রেতারা জানালেন, একে তো সরবরাহ কম তার ওপর ছুটির দিনের বাড়তি চাহিদা। দুই মিলে সপ্তাহের অন্যদিনের তুলনায় বেড়েছে সবজির দাম।

বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, আমরা যারা চাকরিজীবী এই বাজারদর পুরোপুরি ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।

মাছের বাজারে সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও বাড়তি দাম। স্বরসতী পূজার আগে চাহিদা বাড়ায় ইলিশের দাম বেড়েছে হালিতে ৮শ’ টাকা।

এক বিক্রেতা বলেন, মাছের সরবরাহ আছে। কিন্তু দামও বেড়েছে। এবং সবাই কেনেও।

অপর এক বিক্রেতা বলেন, যে মাছ গতকাল বিক্রি করেছি ১১০০ টাকা, সেটি আজ বিক্রি করছি ১৩০০ টাকা।

মাছের বাজারে আসা এক ক্রেতা বললেন, করোনা পরিস্থিতি হিসেবে দাম আসলেই অনেক বেশি। এটা হতাশাজনক।

এই বাজারে কয়েক সপ্তাহ ধরেই খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৯শ’ টাকা কেজি। গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে দুদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকায়। বেড়েছে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দামও।

একজন মুরগি বিক্রেতা বললেন, দেশি মুরগী গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে জোড়ায় ৫০ টাকা বেড়েছে।

তিন/চারদিন ধরে বাড়ছে প্রোটিনের সহজ যোগানদার ডিমের দাম।

একজন মুরগী ক্রেতা বললেন, বাজার তো করতে হবে। না খেয়ে তো থাকতে পারব না। সরকার তো আর এদিকে নজর দিচ্ছে না।

ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনে ৫ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন