হোম অর্থ ও বাণিজ্য কল্পনার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদের বৈঠক, সংশয়ে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকরা

কল্পনার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদের বৈঠক, সংশয়ে গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 81 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

বিতর্কিত ও ওয়াশিংটনের সহায়তা পুষ্ট এনজিও কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার উন্নয়নে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। এভাবেই বাংলাদেশের শ্রম আইন ইস্যুতে শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তারের সঙ্গে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠকের সমালোচনা করছে বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ।

এদিকে দেশের স্বার্থবিরোধী শ্রমিক নেতাদের প্ররোচণায় পড়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি অনেক সংস্থাই বাংলাদেশবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি শিল্প মালিকদের।

গেল ১৬ নভেম্বর, বাংলাদেশি শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তারের পাশে দাঁড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন, ২ মাস পর ঢাকঢোল পিটিয়ে সেই কথা রাখল ওয়াশিংটন।

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, শনিবার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে এলো মার্কিন প্রতিনিধি দল। এর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। নির্বাচন নিয়ে জল ঘোলা করা দেশটির কূটনীতিকরা, সংসদের বাইরের রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকসহ নানা কর্মকাণ্ডে দিন পার করে সন্ধ্যায় আসেন মার্কিন অর্থায়নে এনজিও চালানো শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তরের রামপুরার কার্যালয়ে।

সেখানে আলোচনা হয় দেশের শ্রম আইন ও শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিচার অগ্রগতি ইস্যুতে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কল্পনা বলেন, গাজীপুরের শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম হত্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সঠিকভাবে তদন্ত হচ্ছে কি না, অগ্রগতি কতদূর এসব বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা জানতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি।

বরাবরই ওয়াশিংটনের আস্থার প্রতিদান দেয়া কল্পনার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের এই বৈঠককে সমালোচনার ঊর্ধ্বে রাখছেন না বিশ্বব্যাপী শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, যারা শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করছে তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার। এনজিও সংগঠন, যেটা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বিভিন্নভাবে বিপথে নিচ্ছে, তাদের সঙ্গে কথা বলায় ফায়দা হবে না।

তাদের এমন সমালোচনার কারণও রয়েছে। ২০০৬ সালে মার্কিন দরবারে এই কল্পনা আক্তারের সাজানো অভিযোগেই ধ্বংস হয়েছে ১০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়া নারায়ণগঞ্জের কমপ্লায়ান্স পোশাক কারখানা হারভেস্ট।

এবার এই মার্কিন প্রতিদিন দল বাংলাদেশের শ্রম আইন ইস্যুতে এরইমধ্যে মার্কিন অর্থায়নে এনজিও চালানো কল্পনার সঙ্গে বৈঠক সারলেও কোনো সাক্ষাতের সূচি নেই দেশের সবচেয়ে বেশি শ্রমিকের কাজের খাত পোশাক শিল্প মালিকদের কোনো সংগঠনের। যা উসকে দিচ্ছে চলমান সমালোচনাকে।

বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমাদের সঙ্গে শ্রম অধিকার নিয়ে কথা বলা কোনো শিডিউল নেই। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো কিছু সংখ্যক শ্রমিক নেতা, যারা কখনো কখনো দেশের বাইরে গিয়ে নিজ স্বার্থ আদায়ে কাজ করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। এতে ভুল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে শিল্পের ক্ষতির শঙ্কার থাকেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে অবশ্য কল্পনার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার জানিয়েছিলেন, মার্কিন চাওয়া মেনে নিলে শ্রম অধিকার ইস্যুতে কোনো সমস্যা নেই বাংলাদেশের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন