হোম আন্তর্জাতিক করোনা প্রতিরোধে নাকঢাকা মাস্ক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

করোনা প্রতিরোধে মানুষ এতদিন মুখ ঢাকতে মাস্ক ব্যবহার করলেও এবার বাজারে এসেছে নাকঢাকা মাস্ক। দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্প্রতি কোস্ক নামের পণ্যটি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খাওয়া ও পান করার সময়ও পরা যায় বলে দেশটিতে এটির চাহিদা বেড়েছে। অন্যদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার সময় এতে নাকটি অবশ্য ঢেকে রাখা যায়।

নাকের কোরীয় শব্দের ‘কো’ আর মাস্কের শেষের দুই বর্ণ ‘এসকে’ মিলিয়ে এটির নাম দেওয়া হয়েছে কোস্ক (kosk)। আটম্যান নামের একটি কোম্পানি এটি বাজারে ছেড়েছে।

অনলাইনে ১০টি কোস্কের একটি বাক্স বিক্রি হচ্ছে ৮ দশমিক ১৩ ডলারে। কোস্ক নামের এই নাক ঢাকার দুটো অংশ রয়েছে। নিয়মিত মাস্কের মতো করেই ব্যবহার করা যাবে এটি। তবে খাওয়ার সময় মুখের ওপর দিয়ে একটি অংশ উঠিয়ে ফেলা যায়। পরে আবার তা নিচে নামিয়ে মুখ ঢেকে রাখা যায়।

এদিকে স্পার ক্লোন ফ্যাবরিকের ভিন্ন ভিন্ন রঙের আরেকটি মাস্ক পাওয়া যায় দেশটির বাজারে। কোপার অ্যান্টিভাইরাস নোস মাস্কটিও অনলাইন প্রতিষ্ঠান কোপ্যাংয়ে কিনতে পাওয়া যায়। নাক ঢাকতে নিয়মিত ব্যবহার করা মাস্কের নিচে এটি পরা যায়। খাওয়ার সময় নিয়মিত মাস্কটি খুলে ফেললেও এই মাস্কে নাক ঢাকা থাকবে।

অনলাইনে এমন অদ্ভুত অনেক মাস্ক সাড়া ফেলে দিয়েছে। কেউ কেউ এসব পণ্যের সমালোচনাও করছেন। টুইটারে একজন মন্তব্য করেছেন, তারা চকলেটে তৈরি চায়ের পাত্র বিক্রি করছেন? আরেক নেটিজেন বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বোকামি!

এক ব্যক্তি বলেন, যারা নাকের নিচে মাস্ক পরেন, তাদের সঙ্গে এদের কোনো ফারাক নেই।

বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, শরীরে করোনাভাইরাস প্রবেশের সহজপথ হচ্ছে নাক। এই অঙ্গটি দিয়েই প্রাণঘাতী মহামারি মানুষকে বেশি আক্রান্ত করছে। কাজেই নাকের মাস্ক ব্যবহার হাস্যকর হতে পারে না।

অস্ট্রেলিয়ার দিয়াকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ট্রান্সফরমেশনের মহামারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ক্যাথরিন বেনেট বলেন, নাক-ঢাকা ব্যবহারের ধারণা অদ্ভুত হলেও মাস্ক না পরার চেয়ে এটি অবশ্যই ভালো। এতে সামান্য পার্থক্য তৈরি করতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন