অনলাইন ডেস্ক :
সাতক্ষীরায় করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব না মেনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৪টি মামলায় ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনসমাগম কমাতে ও সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করতে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় ঐ সকল জেলাতে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরতে চেষ্টা করছে। এর প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলাতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২ হাজার মানুষ অন্য জেলা থেকে এসেছে। এর মধ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ৮ জনকে দেবহাটা উপজেলায় বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলায় ২৫০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং ৫৫০ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলায় প্রায় ১০০০ জন লোক অন্য জেলা থেকে এসেছে। এর মধ্যে ৫০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, ২০০ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকিদেরকে চেকপোস্ট বসিয়ে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক অভিযানে ৭৩ জনকে নারায়নগঞ্জ থেকে আসার সময় আটক করে কালিগঞ্জ এবং শ্যামনগর উপজেলায় হস্তান্তর করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৪টি মামলায় ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১৩টি মামলায় ৬৬০০ টাকা, আশাশুনি উপজেলায় ৩টি মামলায় ২০০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ১টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা, তালা উপজেলায় ১২টি মামলায় ৬০০০ টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২টি মামলায় ২৫০০ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৪ টি মামলায় ৪০০ টাকা ও দেবহাটা উপজেলায় ৯ টি মামলায় ১১৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় ঐ সকল জেলা লক ডাউন ঘোষণার প্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরতে চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতে বুধবারই সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা ঝুঁকি মুক্ত রাখতে সাতক্ষীরা জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলার সকল সীমান্ত এবং আন্ত:উপজেলা সীমান্ত জরুরী সেবা ব্যতীত (যেমনঃ রোগীবাহী গাড়ী, ঔষধ পণ্যবাহী গাড়ী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মালামালবাহী গাড়ী) সকল প্রকার যানবাহন ও জনচলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা ও পৌরসভার ৩৯ হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২৮০ ব্যক্তির বাড়িতে তাদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষা করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।