অনলাইন ডেস্ক:
দেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১১ শতাংশ। অর্থাৎ উপসর্গ আছে এমন গড়ে ১০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করলে ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়ও মোট রোগীর ৮৪ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ এ বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতে এ রোগের ব্যাপ্তি মারাত্মক আকার ধারণ করলেও করোনার তেমন প্রকোপ দেখা যাচ্ছে না রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও খুলনা বিভাগে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ঢাকার বাইরের অঞ্চলগুলোতে সচেতনতার অভাবে মানুষ উপসর্গগুলোকে আমলে না নেওয়া এবং তুলনামূলক টেস্টও করা হচ্ছে কম।
দেশের সবগুলো জেলার সিভিল সার্জন এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কাছ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিটি অঞ্চলে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ও শনাক্তের হার একইরকম নয়।
আইইডিসিআরের ২৮ এপ্রিল সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী সারাদেশ থেকে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৫৪ হাজার ৭৩৩টি এবং এসব নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ছয় হাজার ৪৬২ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ টেস্টের বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ শতাংশ, যা বিশ্বের ব্যাপকভাবে আক্রান্ত দেশগুলোর চেয়েও বেশি।
তথ্যানুযায়ী, সারাদেশে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৩৩ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। কেবল ঢাকা বিভাগের হিসাব করলে এই হার দেখা যায় ৬৬ জন। আবার কেবল ঢাকা জেলার হিসাব করলে এই হার ১০৫ জন। অর্থাৎ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকা ও ঢাকা বিভাগকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে।