জামালউদ্দীন :
মুজিব বর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান কর্মসূচি শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগী কারা তা নির্দিষ্ট আকারে উল্লেখ করেছেন। সাতক্ষীরা জেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নে এ তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালক ৬ শাখার মূখ্যসচিব ড. আমম্মেদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত ঐ পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট উপকারভোগীদের নামের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশিকা।
এছাড়াও উল্লেখ করেছেন, ১ মাসের জন্য নয় দূর্যোগ চলাকালীন সময়ে প্রতিমাসে এ উপকারভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিং এ ২৫০০ টাকা প্রেরণ করা হবে। উপকারভোগীরা হলেন, ভাসমান মানুষ, নির্মাণ শ্রমিক, গণপরিবহন শ্রমিক, রেষ্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরীওয়ালা, রেলওয়ের কুলি, মজুর, ঘাটশ্রমিক, নরসুন্দর (সেলুন), দিনমজুর, রিকশা, ভ্যানগাড়ি চালক এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের লোক এ মানবিক সহায়তার আওতায় আসবে।
সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে সরকারের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত প্রায় ৭৬ লক্ষ পরিবার ব্যতীত অন্য নিম্ন ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মধ্যে এ নগদ টাকা প্রদান করতে হবে। যেখানে সরকারের প্রতিনিধিসহ ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করে প্রকৃত উপকারভোগীর জন্য এ সহায়তা প্রদান করা হলেও সাতক্ষীরায় বেশিরভাগ ইউনিয়নে তালিকা প্রণয়নে নয়ছয়’র অভিযোগ উঠেছে।
কোটিপতি, শিল্পপতি, সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, এমনকি একই ব্যক্তির নামে একাধিক তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগের বিষয়।
মহামারী করোনায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করলেও সরকারের মহতী উদ্যোগের সহায়তা কেন পাচ্ছে না এ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুজিব বর্ষের মানবিক সহায়তার প্রাপ্ত অর্থ যেন প্রকৃত উপকারভোগীরা পায় এজন্য জনসাধারণ জেলা প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।