জাতীয় ডেস্ক :
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনী অংশে অনুমোদিত লেভেলক্রসিং রয়েছে ২২টি। আর অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছে আরও ৯টি ক্রসিং। আবার অনুমোদিত লেভেলক্রসিংগুলো চলছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম জনবল দিয়ে। এ ছাড়া রেললাইনের পাশে অবৈধ বাজার আর নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে ওঠায় মানুষের অসতর্কতামূলক চলাচল দিনদিন বাড়ছে। এসব কারণেই প্রায়ই রেল দুর্ঘটনায় ঝরছে প্রাণ। এসব ক্রসিং নিরাপদ করতে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস রেলওয়ে কর্মকর্তার।
ফেনী শহরের ব্যস্ততম পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গুদাম কোয়াটার এলাকায় ক্রসিংয়ের জন্য কমপক্ষে ৬ জন গেটম্যান থাকার কথা থাকলেও অর্ধেক দিয়ে চলছে নিয়ন্ত্রণের কাজ। এমন চিত্র জেলার সব ক্রসিংয়ের।
গেটম্যানদের দাবি, লোকবল সংকটের কারণে দুইজনের কাজ তাদের একজনকে করতে হয়। এক পাশের গেট ফেলে অন্য পাশে যেতে না যেতেই লোকজন সেই গেট তুলে পার হয়ে যান। নিষেধ করলেও শোনেন না। অনেক সময় তাদের মারতেও তেড়ে যান। আর দুর্ঘটনা ঘটলে দোষ হয় গেটম্যানদের।
রেলওয়ে বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, ফেনীর প্রায় ২৭ কিলোমিটার অংশে মোট ৩১টি রেলক্রসিং রয়েছে। এরমধ্যে ২২টি বৈধ লেভেলক্রসিংয়ের গেটম্যান ৬৬ জনের মধ্যে রয়েছেন ৪৪ জন। অন্যদিকে ৯টি অবৈধ ক্রসিংয়ের কিছুই নেই। আছে শুধু রেল কর্তৃপক্ষের একটি সতর্কীকরণ লেখা। অরক্ষিত অবৈধ ক্রসিংয়ের কারণেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
এসব ক্রসিং নিরাপদ করতে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ফেনী রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘অননুমোদিত লেভেলক্রসিংয়ে নিজ নিজ দায়িত্বে চলাচল করা উচিত। কেননা অননুমোদিত হওয়ায় এসব ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। এসব ক্রসিং নিরাপদ করতে পর্যায়ক্রমে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
চলতি বছরের ৭ মাসে রেলপথের ফেনী অংশে ট্রেনে কাটা পড়ে ৯ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।